বাগাতিপাড়ায় চিকিৎসাসেবা না দেওয়ার চিকিৎসকের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন 

বাগাতিপাড়া প্রতিনিধি:
নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীকে চিকিৎসা না দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ আয়েশা সিদ্দিকা আশার বিরুদ্ধে। এ ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এ সংক্রান্ত এক চিঠি সোমবার অভিযোগকারী উপজেলার ঘোরলাজ মহল্লার জাতীয় পার্টির নেতা শমসের আলী হাতে পেয়েছেন।

গত ৩ জুলাই নাটোর সিভিল সার্জন ডাঃ আজিজুল ইসলাম সাক্ষরিত ওই চিঠিতে চিকিৎসক আশার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্তপূর্বক ১০ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। এতে একই জেলার পার্শ্ববর্তী লালপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আনছারুল হককে তদন্ত কর্মকর্তা নিযুক্ত করা হয়েছে।

এর আগে এ ঘটনায় গত ১ জুলাই বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের বাগাতিপাড়া উপজেলার শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট সোহেল রানা সংবাদ সম্মেলন করে অভিযুক্ত চিকিৎসককে হাসপাতাল থেকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। এছাড়াও একই অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ২৮ জুন ডাঃ আয়েশা সিদ্দিকা আশাকে কারন দর্শানোর নোটিশ দেন বাগাতিপাড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আমিনুল হক।

শমসের আলীর অভিযোগ, গত ২৬ জুন দুপুরে তার পুত্রবধু আইনজীবী নিতু ব্যানার্জী গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে চিকিৎসা নিতে যান। সেখানে মেডিক্যাল এ্যাসিসটেন্ট রোগীর পরিস্থিতি দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আয়েশা সিদ্দিকা আশাকে মোবাইল ফোনে জানান। সে সময় ডাঃ আশা হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় ছিলেন। রোগীর কথা জানার পরও তিনি চিকিৎসা সেবা না দিয়েই মোবাইল ফোনে রোগীকে নাটোর সদর হাসপাতালে প্রেরণের পরামর্শ দেন। এমনকি দোতলা থেকে তিনি নিচেও নামেননি। পরে নিতু ব্যানার্জীকে দ্রুত নাটোর এবং পরবর্তীতে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ বিষয়ে ডাঃ আয়েশা সিদ্দিকা আশা সাংবাদিকদের বলেছেন, ওই দিন সকাল থেকে দুইবার ওই রোগীকে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পরে দুপুরে আবারও যখন ওই রোগী এসেছিলেন তখন দোতলায় আমি খাওয়া দাওয়া করছিলাম। ফোনে রোগীর বিষয়ে জেনে তাকে দ্রুত নাটোরে স্থানান্তর করা হয়।

এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন বানু বলেন, সোমবার উপজেলা আইন-শৃংখলা সভায় চিকিৎসক আশার বিরুদ্ধে চিকিৎসা না দেওয়ার অভিযোগ উত্থাপিত হয়। এর আগেও রোগীর স্বজনদের লিখিত অভিযোগ তিনি পেয়েছেন। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে তিনি স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আমিনুল হককে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

স/অ