বাগমারায় নানার বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

বাগমারা প্রতিনিধি:

রাজশাহীর বাগমারায় নানার বিরুদ্ধে পঞ্চম শ্রেণির এক স্কলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার (০৩ সেপ্টেম্বর) সকালে  উপজেলার বড়বিহানালী ইউনিয়নের ছোটকয়া গ্রামে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। পরে ধর্ষণের ঘটনায় ওইদিন (৩ সেপ্টেম্বর) রাতেই  ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ফজলুর রহমান ফজেল (৫০) নামের অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে আসামি করে বাগমারা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। পরে রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে আসামিকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার ফজেল সম্পর্কে ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর মায়ের আপন ফুফা বলে জানা গেছে।

এদিকে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসিতে) ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর মা চাকরীর সুবাদে বিদেশে থাকেন। যেহেতু ভুক্তভোগীর মা বিদেশে থাকেন এজন্য পরিবারের দেখাশোনা ও খোঁজ-খবর রাখার জন্য তিনি (ভুক্তভোগীর মা)  তার আপন ফুফা ফজলুর রহমান ফজেলকে অনুরোধ জানান। এই সুবাদে ভুক্তভোগীর পরিবারে সঙ্গে ফজেলের সখ্যতা গড়ে ওঠে। সেই সুবাদে ফজেল পঞ্চম শ্রেণির ওই শিশুটিকে মোটরসাইকেলে বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে নিয়ে  যেতেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার (৩সেপ্টেম্বর) সকালে ওই শিশুটিকে তার অভিযুক্ত ফজেল তার বাড়ীতে নিয়ে যায়। ওই সময় তার বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে ফজেল শিশুটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য তাকে শিশুটিকে ভয়ভীতি দেখায় ফজেল। কিন্তু শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে ঘটনাটি মোবাইলে ভুক্তভোগী শিশু তার প্রবাসী মাকে জানায়। পরে ঘটনাটি শিশুটির মা তার বাবাকে জানালে রাতেই বাবা অভিযুক্ত ফজেলকে আসামী করে ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে ফজেলকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে।

এ ব্যাপারে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, ‘ ধর্ষণের অভিযোগে থানায় একটি মামলা হয়েছে। এই মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভুক্তভোগী শিশুটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য রামেক হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে।’

স/আর