নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজশাহীর বাগমারার ঝিকরা ইউনিয়নের মরুগ্রামে নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনায় দুই পক্ষ পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করেছে। এ মামলায় পরাজিত নারী সদস্য আসমা বেগম বাদী হয়ে ২৬ জনের নাম উল্লেখসহ আরো
৮/১০ জন অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। অপরদিকে বিজয়ী নারী সদস্য আঞ্জুয়ারা বাদী হয়ে প্রতিপক্ষের ১১ জনকে আসামী করে আরো একটি মামলা দায়ের করেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতেই দুই নারী সদস্য আসমা বেগম ও আঞ্জুয়ারা বেগম বাদী হয়ে মামলা করেন বলে আজ শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাগমারা থানার ওসি (তদন্ত) আসাদুজ্জামান আসাদ বিষয়টি সিল্কসিটি নিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ৩১ অক্টোবর উপজেলার ঝিকরা ইউনিয়নে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তার পরের দিন সকালে একই ইউনিয়নের মরুগ্রামে বিজয়ী আঞ্জুয়ারা ও পরাজিত প্রার্থী আসমা বেগমের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুই পক্ষের মহিলাসহ অন্ততো ১৩ জন আহত হয়। পরে আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনার পরে পুলিশ একই এলাকায় বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে অভিযান চালিয়ে একই পরিবারের ৫ জনকে আটক করে।
এদিকে, আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা করার বাদী না পেয়ে পরের দিন তাদেরকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। এ সংঘর্ষের পরের দিন রাজশাহীর পুলিশ সুপার মোয়াজ্জেম হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শনে করেন।
পুলিশ সুপার মোয়াজ্জেম হোসেন নির্যাতিতদের অভিযোগ আমলে নিয়ে ঘটনা সর্ম্পকে পুলিশের কোন অবহেলা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থার নেয়ার আশ্বাস দেন। গত বুধবার সকালে পুলিশ সুপার মোয়াজ্জেম হোসেন ঝিকরা এলাকায় পৌঁছালে এলাকায় পুরুষ লোকজনেরা পালিয়ে যায়। নির্যাতিতদের পরিবার ছাড়া পুলিশ সুপারের সামনে আর কেউ ছিলনা বলে এলাকারবাসী জানায়।
এদিকে মামলার পেক্ষিতে ঝিকরার মরুগ্রাম এলাকায় পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে।
স/অ