বাগমারার হামিরকুৎসা ইউনিয়নে বন্যায় বাড়িঘর ভেঙ্গে গৃহহীন শতাধিক পরিবার

 

বাগমারা প্রতিনিধি:

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার হামিরকুৎসা ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে গত কয়েক দিনের প্রবল বর্ষন ও বন্যায় বাড়িঘর ভেঙ্গে শতাধিক পরিবার গৃহহীন হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে অন্তত এক হাজার বাড়িঘর। ওই ইউনিয়নের দক্ষিন মাঝগ্রাম, আলোকনগর, রাঁয়াপুর, তালঘরিয়া, কোনাবাড়িয়া ও শ্রীপতিপড়া গ্রামে মাটির বাড়িঘর ভেঙ্গে অনেক পরিবার অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে বলে জানা গেছে।

এরমধ্যে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে কোনাবাড়িয়া গ্রাম। ওই গ্রামে মাটির বাড়িঘর ভেঙ্গে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে কয়েকটি পরিবার। সন্তানাদি নিয়ে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিলেও পরবর্তীতে নিজেদের ভিটে মাটিতে কিভাবে আবার বসতি গড়বেন সেই চিন্তায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার গুলো। ক্ষগ্রিস্থরা সরকারী ভাবে বাড়ি নির্মানের দাবী জানিয়েছেন। কোনাবাড়িয়া গ্রামের মৃত হাছেন আলী মোল্লার ছেলে ভ্যান চালক আব্দুল হান্নান জানান, বন্যায় তার মাটির ঘর ভেঙ্গে পড়েছে। স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে বেকায়দায় পড়তে হয়েছে।

একই এলাকার মৃত সাহাদ মন্ডলের ছেলে জাবেদ আলী মন্ডল, সাহাদ মন্ডলের স্ত্রী বেজা, মৃত ময়েজ উদ্দিনের স্ত্রী মনোয়ারা, রেহেনা বিবি, এমরানের ছেলে জিয়াউর রহমান, আশরাফ আলী শেখ, আজাহার আলী, দক্ষিন মাঝগ্রামের আব্দুস সালামসহ প্রায় শতাধিক বাড়িঘর ভেঙ্গে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে তারা অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। একই গ্রামের আজাহার আলী হাবল, জামাল উদ্দিন, ইব্রাহিম হোসেনসহ অনেকের বাড়িঘরে ফাটল ধরে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে উঠেছে।

কোনাবাড়িয়া গ্রামের ওলিমুদ্দিনের ছেলে ভ্যান চালক আজাহার আলী জানান, তার বাড়িঘর ভেঙ্গে যাওয়ায় অন্যের বাড়িতে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্থরা জানান, এখন পর্যন্ত তাদের সরকারী কোন সহযোগীতা দেয়া হয়নি। পরিবার পরিজন নিয়ে তারা চরম দুর্দশার মধ্যে জীবন যাপন করছেন বলে জানিয়েছেন। এদিকে ওই এলাকায় রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন অনেক পরিবার। অনেক জায়গায় যাতায়াতের জন্য নৌকা ও বাঁশের আঢ় বেয়ে যাতায়াত করতে দেখা গেছে।

হামিরকুৎসা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বলেন, প্রবল বর্ষণ ও বন্যায় এই ইউনিয়নের প্রায় দুই তিনশ বাড়িঘর ভেঙ্গে গেছে এবং অন্তত এক হাজার বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। মাত্র একটন চাল পাওয়া গেছে। তবে প্রয়োজন অনুযায়ী সরকারী সহায়তা এখনো পাওয়া যায়নি।

স/রি