বাগমারার এলজিইডির ইঞ্জিনিয়ারের বিরুদ্ধে ঠিকাদারদের নানা অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক:


বাগমারার এলজিইডির ইঞ্জিনিয়ারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলেছেন ঠিকাদাররা। এনিয়ে বুধবার (১৩ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এলজিইডি রাজশাহীর অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আবদুল মালেক সরকারের কাছে অভিযোগ করেছেন তারা। এসময় বাগমারার ঠিকাদাররা উপস্থিত ছিলেন।



এসময় ঠিকদাররা অভিযোগ করেন, কোন ঠিকাদারকে ইঞ্জিনিয়ার সানোয়ার হোসেন ঠিক মতো কাজ করতে দেন না। যতক্ষণ না অর্থিক সমঝতা না হয়। ঠিকদাররা তার সাথে দেখা করতে গেলে তিনি নানা ভাবে হয়রানি করেন। এছাড়া রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় রুয়েটে টেস্ট করা বিটুমিন তিনি বলেন সঠিক নয়। প্রতিটি কাজের বিনিময়ে ১ থেকে ২ শতাংশ টাকা নেন তিনি। এছাড়া তারেখ ঠিকাদারের কাজ অহেতুক বন্ধ করে স্থানীয়দের খেপিয়ে দিয়েছেন। তিনি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কাজ বন্ধ করে লেন্দি করেন। এতে সঠিক সময়ে কাজ সম্পন্ন করতে পারে না ওই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। পরে আবার ওই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানাও কারেন তিনি।

উপস্থিত ঠিকাদাররা অভিযোগ করেন, এই প্রকৌশলী গত সাত বছর ধরে একই স্থানে কর্মরত থেকে নিজেরে বলয় তৈরী করে ঠিকাদারদের নানাভাবে হয়রানি করছেন। ফলে এ উপজেলায় স্কুল নির্মাণ, রাস্তা নির্মাণ, সংস্কার থেকে শুরু করে সব ধরনের উন্নয়নকাজ গত দুই বছর ধরে থমকে আছে।

ঠিকাদারদের মধ্যে মীম ডেভলমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং লি. এর মালিক ফজলুর ইমন তারেক বলেন, তিনি ( ইঞ্জিনিয়ার সানোয়ার হোসেন) মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের কাজের আগে রুমে এসি (গ্রী দুই টন) লাগিয়ে নিয়েছেন। যদিও সেই এসিতে লেখা এমপির সৌজন্যে। এসি নেওয়ার পরে তিনি আমাকে সাইড বুঝিয়ে দিয়েছেন।

অভিযোগের এবিষয়ে বাগমারা উপজেলা এলজিইডির ইঞ্জিনিয়ার সানোয়ার হোসেন জানান, ঠিকাদারা যখন কাঙ্খিত সুবিধ পাবে না। তখন অভিযোগ তো করবে। রাস্তার কাজের বিষয়ে যে ঠিকাদার অভিযোগ করেছেন- তার রাস্তার কাজ শেষ হওয়ার চার- পাঁচ দিন হলেও রাস্তা শুকায় না। সেইগুলো পাটিসপ্টার (এক ধরনের পেচানো রুটি) মতো উঠে যাচ্ছে। আর স্থায়ীদের সাথে কথা বললে বুঝতে পারবেন তারা নিজেরাই কাজ বন্ধ করে দিয়েছে।

এবিষয়ে এলজিইডি রাজশাহীর অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আবদুল মালেক সরকার উপস্থিত সাংবাদিক ও ঠিকাদারদের সামনে জানান, আমাদের কাছে আগে কোন অপত্তি বা অভিযোগ আসেনি। আজ আপনারা অভিযোগ জানালেন।

স/আ