বাকেরগঞ্জে সেতু ভেঙে বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ, চরম দুর্ভোগে শিক্ষার্থীরা

বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের শ্যামপুর বাজারসংলগ্ন বিষখালী নদীর ওপর নির্মিত সেতু ভেঙে দুই উপজেলার মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

ছয়টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও দুটি বাজারের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী ও পথচারী নিয়মিত চলাচল করতেন এই সেতু দিয়ে। ভেঙে পড়ায় এখন চরম দুভোর্গে দুই উপজেলার প্রায় ১০ হাজার মানুষ।

জানা গেছে, ৫ বছর আগে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক সেতু পার হতে গিয়ে সেতুর একটা অংশ ভেঙে পড়ে দুজন আহত হয়। এতদিন স্থানীয়দের অর্থে কোনোমতে কাঠ দিয়ে মেরামত করে ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার পথচারী যাতায়েত করতেন। সেতুটি ২৭ জুন সকালে কয়েকজন শিশুসহ ভেঙে পড়ে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, গুরুত্বপূর্ণ এই সেতুটি দীর্ঘ ৫ বছর যাবত ভাঙা থাকলেও জনপ্রতিনিধি বা সংশ্লিষ্ট দফতরের কেউ মেরামত বা নতুন নির্মাণে এগিয়ে আসেননি। সেতু দিয়ে কুশাংগল, মানপাশা, সরমহল, শ্যামপুর, কাঁঠালিয়া, দাওকাঠী, বিরংগলসহ শ্যমাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, শ্যমাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যাল, সরকারি বাকেরগঞ্জ কলেজ, রতনা আমিন মহিলা কলেজে, ইসলামিয়া মহিলা কলেজ ও শ্যামপুর মাদ্রাসার কয়েক হাজার শিক্ষার্থী নিয়মিত যাতায়াত করেন।

এছাড়াও শ্যামপুর বাজার ও মানপাশা বাজারে প্রতি হাটের দিন ৫-৭ হাজার পথচারী যাতায়েত করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সেতু নির্মাণ করার সময় নিম্নমানের বিটুমিন ব্যবহার করে সেতু নির্মাণ করায় অল্প সময়ের মধ্যে সেতুটি ভেঙে পড়ে।

এ প্রসঙ্গে শ্যামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিজামুল কাদির  বলনে, ‘সেতুটি ভেঙে পড়ায় সব থেকে আমার বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্ষতি বেশি হয়েছে। কয়েক দফা চাঁদা তুলে সেতু মেরামত করি। এবার সেতুটি একেবারে ভেঙে পড়ায় মেরামতের আর সুযোগ নেই। এখন সেতুটি নতুন নির্মাণ করা দরকার।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাকেরগঞ্জ উপজেলার রংঙ্গশ্রী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. বশির উদ্দিন সিকাদার  জানান, ‘শ্যামপুর বাজারের এ সেতুটি বাকেরগঞ্জ ও নলছিটির বর্ডার এলাকায় পছে। এটা রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব তাদের। তবে তারা চাইলে আমরা নিমার্ণের উদ্যোগ নিতে পারি।’

বাকেরগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মীর মহিদুল ইসলাম জানান, সেতুটি নির্মাণ করার জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

 

সুত্রঃ যুগান্তর