বাউল রিতা দেওয়ানের বিরুদ্ধে মামলার বিচারকাজ হাইকোর্টে স্থগিত

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক:

বাউল শিল্পী রিতা দেওয়ানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার বিচারকাজ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। মামলাটি বাতিল চেয়ে রিতা দেওয়ানের আবেদনের শুনানির পর মঙ্গলবার রুলসহ আদেশ দেন বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের দ্বৈত বেঞ্চ। রিতা দেওয়ানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৮(১) ৩৫ ধারায় অভিযোগ গঠনের আদেশ কেন বাতিল করা হবে না, জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবদুল্লাহ আল নোমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কামরুল আহসান খান আসলাম।

আইনজীবী আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, রুল নিষ্পত্তি পর্যন্ত রিতা দেওয়ানের ক্ষেত্রে মামলাটির বিচারকাজ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।

একটি পালাগানে ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগ এনে ২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারি রিতা দেওয়ানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আদালতে অভিযোগ করেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য মো. ইমরুল হাসান।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৮(১) ও ৩৫ ধারায় করা অভিযোগে বলা হয়েছে- সম্প্রতি একটি পালাগানের আসরে প্রতিপক্ষকে আক্রমণ করতে গিয়ে রিতা দেওয়ান সৃষ্টিকর্তাকে নিয়ে ‘ধৃষ্টতা ও কুরুচিপূর্ণ’ মন্তব্য করেছেন। ইউটিউবে সেই পালাগানের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় তা মানুষের ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত’ হেনেছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করেন আইনজীবী ইমরুল হাসান। সেই অভিযোগ আমলে নিয়ে বিচারক পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআইকে বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব দেন।

এদিকে গান নিয়ে সমালোচনার মধ্যে ওই বছর ১ ফেব্রুয়ারি একটি ইউটিউব চ্যানেলে এসে ক্ষমা চান বাউল রিতা দেওয়ান। পরে ওই বছর ২০ অক্টোবর পিবিআইর পরিদর্শক শেখ মো. মিজানুর রহমান অভিযোগ তদন্ত করে রিতা দেওয়ানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দেন। ওই বছরের ২ ডিসেম্বর সেই প্রতিবেদন আমলে নিয়ে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন তিনজনের বিরুদ্ধেই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। পরে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন তারা।

এর মধ্যে ২০২১ সালের ২৫ অক্টোবর তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। আগামী ২৭ জানুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ রয়েছে। রিতার সঙ্গে অভিযুক্ত অন্য দুই আসামি হলেন শাজাহান ও ইকবাল হোসেন। এ অবস্থায় গত বছর মে মাসে অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মামলাটি বাতিল করতে হাইকোর্টে আবেদন করেন রিতা দেওয়ান। সেই আবেদনের শুনানির পর আদেশ হলো।

সূত্র: যুগান্তর