মঙ্গলবার , ৫ জুলাই ২০১৬ | ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

বাংলাদেশ সফর বাতিল করছেন বিদেশিরা

Paris
জুলাই ৫, ২০১৬ ৪:৪৫ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

পোশাক খাত ও নির্মাণ খাতে যুক্ত থাকা বিদেশি কোম্পানি ও নাগরিকরা বাংলাদেশ সফর বাতিল করেছেন। পাশাপাশি বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশি কর্মীদের বাসায় অবস্থানের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

গত শুক্রবার রাজধানীর গুলশানের স্প্যানিশ রেস্তোরাঁ হলি আর্টিজানে সন্ত্রাসী হামলার পরিপ্রেক্ষিতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সন্ত্রাসী হামলার পর বাংলাদেশে পর্যটন খাতেও হোটেলের বুকিং বাতিলের হিড়িক পড়েছে। হোটেলগুলো তাদের নিজস্ব নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করেছে এবং বিভিন্ন দেশের দূতাবাসগুলো অতিরিক্ত কর্মী সরিয়ে নিতে শুরু করেছে।

শুক্রবারের ওই হামলার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)। ওই ঘটনায় নয়জন ইতালীয়, সাতজন জাপানি, একজন মার্কিন, দুজন বাংলাদেশি ও এক ভারতীয় নাগিরক নিহত হন।

জাপানের বিখ্যাত তৈরি পোশাক বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান ইউনিক্লো জানিয়েছে, তাদের কর্মীদের জন্য বাংলাদেশে সব ধরনের ভ্রমণ স্থগিত করা হয়েছে। এ ছাড়া দেশটিতে অবস্থানরত ইউনিক্লো কর্মীদের বাসায় অবস্থান করতে বলা হয়েছে।

এদিকে, হোলি আর্টিজানে হামলার ঘটনায় হুমকির মুখে পড়েছে বাংলাদেশের পোশাক খাত। বিদেশিদের লক্ষ্য করে চালানো এই হামলার ফলে বড় বড় ক্রেতাপ্রতিষ্ঠানগুলো পোশাক কেনার জন্য উৎস পরিবর্তন করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন দেশটির পোশাক খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বাংলাদেশকে বিশ্বের দরিদ্রতম দেশগুলোর একটি হিসেবে বর্ণনা করে বলা হয়েছে, দেশটির ৮০ শতাংশ রপ্তানি আয় পোশাক খাতভিত্তিক। ইউরোপ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানির দিক থেকে চীনের পরেই বাংলাদেশের অবস্থান।

বিশ্ববিখ্যাত পোশাক ব্র্যান্ড মার্কস অ্যান্ড স্পেনসার এবং গ্যাপের পোশাক তৈরি করে এমন একটি প্রতিষ্ঠান স্প্যারো গ্রুপের প্রধান শোভন ইসলাম রয়টার্সকে বলেন, ‘যেসব ব্র্যান্ডের জন্য আমরা কাজ করি তাদের জন্য এই হামলার ঘটনা অবশ্যই ভীষণ উদ্বেগজনক।’

এর আগে গত বছর বাংলাদেশে একজন বিদেশিকে হত্যার পর কিছু বিদেশি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা এই দেশে এসে বৈঠক করতে আপত্তি করেছিল বলে জানান শোভন ইসলাম। ফলে তাদের সঙ্গে ব্যাংকক, দিল্লি বা হংকংয়ে গিয়ে বৈঠক করতে হয়েছিল বলে জানান তিনি।

শোভন ইসলাম আরো বলেন, ‘এবারের ঘটনার পর বিদেশিদের ভয় এবং আতঙ্কের মাত্রা আরো বেশি। বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো এবার অবশ্যই তাদের পরিকল্পনা পরিবর্তন করবে।’

নাইক, অ্যাডিডাস ও পুমার মতো ব্র্যান্ডগুলোর সঙ্গে কাজ করা প্রতিষ্ঠান পু চেন-এর সিনিয়র ম্যানেজার অ্যামোস হো বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে অবস্থান করা আমাদের কর্মীদের সাবধানে থাকতে নির্দেশ দিয়েছি। তাদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’

পোশাক খাতের বিশ্লেষকরা বলছেন, এখন হয়তো পোশাক তৈরির জন্য বিখ্যাত ব্র্যান্ডগুলো বাংলাদেশের পরিবর্তে কম্বোডিয়া বা শ্রীলঙ্কার দিকে ঝুঁকবে। তবে কোনো বড় প্রতিষ্ঠান এখনো এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেনি।

এ বিষয়ে বিখ্যাত ব্যান্ড এইচ অ্যান্ড এমের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এখনই পোশাকের উৎস পরিবর্তনের কোনো সিদ্ধান্ত আমরা নিইনি। তবে এ বিষয়ে পরিস্থিতি খুব গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।’

এদিকে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য দূতাবাসের কর্মী কমিয়ে ফেলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। একটি কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মী রেখে বাকিদের নিজ নিজ দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে নির্মাণাধীন সেতু তৈরির কাজে নিযুক্ত নির্মাণ প্রতিষ্ঠান ওবায়াশি অ্যান্ড শিমুজি তাদের কর্মীদের যথাসম্ভব ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।

হোলি আর্টিজানে হামলার ঘটনার পর ঢাকার পাঁচ তারকা হোটেলগুলোতে দেওয়া অগ্রিম বুকিং বাতিল করে দিয়েছেন অনেক অতিথি।

সূত্র:রাইজিংবিডি

সর্বশেষ - জাতীয়