বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং জানিয়েছেন, বাংলাদেশ বা পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে মিলিটারি বেইজ বা সামরিক কোনো সরঞ্জাম তৈরির কাজ করে না চীন। কোনো দেশ চাইলে সামরিক সরঞ্জাম ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণে সহায়তা করে। বাংলাদেশে চীনা মিসাইল কারখানা তৈরির খবর খতিয়ে দেখবে বেইজিং।

আজ রবিবার (১৩ মার্চ) ‘বসন্তে চীনের সঙ্গে সংলাপ’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।

জাপানি সংবাদমাধ্যম নিক্কিতে প্রকাশিত ‘বাংলাদেশে মিসাইল তৈরির কারখানা করেছে চীন’- এমন খবর নিয়ে প্রশ্ন করা হলে জবাবে তিনি বলেন, এ রকম খবর খতিয়ে দেখার জন্য বেইজিংয়ে বার্তা পাঠাব।

ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে লি জিমিং বলেন, দুটি দেশই চীনের বন্ধুদেশ। বর্তমানে একমাত্র কাজ হলো টেনশন সমাপ্ত করা, মানবাধিকারসংকট থেকে রক্ষা করা দরকার। তৃতীয় হলো এটি তদন্ত করে দেখা যে যুদ্ধ কেন শুরু হলো। এটির ঐতিহাসিক কী কারণ থাকতে পারে। তিনি আরো বলেন, ‘আমরা রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি সমর্থনের ভূমিকা করছি না। আমরা বলছি, আসুন বসুন। এক কাপ চা খান। আলোচনা করে এ সংকটের সমাপ্ত করুন। এই সংকট আলোচনা করে শেষ করা যেতে পারে। ’

জাতিসংঘে ইউক্রেন নিয়ে বাংলাদেশের পদক্ষেপ নিয়ে রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, বাংলাদেশ যে পদক্ষেপ নিয়েছে তার উত্তরে বলেছে, তারা সারা বিশ্বে শান্তি চায়। তাইওয়ান সম্পর্কে প্রশ্নের উত্তরে বলেন, পানির মতো পরিষ্কার করে বলতে চাই, তাইওয়ান ইস্যু চীনের সম্পূর্ণ অভ্যন্তরীণ বিষয়। এক চীন নীতি গোটা বিশ্ব মেনে চলে, বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্র পর্যন্ত।

ইন্দোপ্যাসিফিক করিডর আইপিএস, কোয়াডসহ এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে বিভিন্ন উদ্যোগ চীনবিরোধী। এসব কৌশল নিয়ে বাংলাদেশ বুদ্ধিবৃত্তিক সিদ্ধান্ত নেবে বলে আশাবাদ চীনা রাষ্ট্রদূতের। রোহিঙ্গা নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে বলেন, আমরা এ নিয়ে খুবই ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি। বাংলাদেশ ও মিয়ানমার দুই দেশই চীনের ভালো বন্ধু। কিছু উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভালো কিছু ঘটেনি। তবে চেষ্টা চলছে, কিভাবে রোহিঙ্গাদের অবস্থার উন্নতি ঘটানো যায়।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ