বাংলাদেশের মানুষ খাবার চাই না, ভোটার অধিকার চাই : আবদুল মঈন খান

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত করা, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে রাজশাহীতে গণ-অবস্থান কর্মসূচি করেছে বিএনপি। বুধবার বেলা ১১টার দিকে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, জাতীয় সংগীত ও বিএনপির দলীয় সংগীতর মধ্য দিয়ে নগরের মালোপাড়ার ভুবনমোহন পার্কে এই কর্মসূচি শুরু হয়।

কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, প্রধান বক্তা বিএনপি চেয়্যারপার্সনের উপদেষ্টা মো. মিজানুর রহমান মিনু, সমন্বয়ক বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু। এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির রাজশাহী মহানগরের সদস্য সচিব মামুন-অর-রশিদ, সদস্য সচিব শ্রী বিশ^নাথ সরকার, বিএনপির নেত্রী আসিফা আশরাফি পাপিয়া, রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন শওকত প্রমূখ।

কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি আবদুল মঈন খান বলেন, ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সারাদেশে হাজার হাজার মানুষ রাজপথে সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে। একটিই বিষয়, তাহলো গণতন্ত্র। আওয়ামী লীগ যদি স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি হয়ে থাকে, তাহলে কেনো তারা সংবিধানের মূলনীতি গণতন্ত্র বিসর্জন দিয়েছে। তারা বিগত ১৪-১৫ বছর অলিখিত বাকশাল কায়েম করেছে। তারা নাকি আবার গণতন্ত্রের প্রবক্তা। কথা-কাজের মাঝে ফারাক কেনো।’

তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যেটা বলে সেটা করে না, আর যেটা করে সেটা বলে না। আওয়ামী লীগ বলে গণতন্ত্র, করে স্বৈরতন্ত্র। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ অর্থবিত্ত চাই না। বাংলাদেশের মানুষদেরকে আপনি একহাতে খাবার দিন, আরেক হাতে দিন ভোট। কোনটা নিবে? দুইটা একসঙ্গে পাওয়া যাবে না। এমন কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও বাংলাদেশের মানুষ বলবে আমি খাবার চাই না, ভোটার অধিকার চাই।’

এর আগে সকাল থেকেই রাজশাহী নগর ও জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতা-কর্মীরা ভুবনমোহন পার্কে জড়ো হতে থাকেন। তবে ভুবনমোহন পার্কের জায়গা ছোট হওয়ায় নেতা–কর্মীরা পার্কের বাইরের রাস্তায়ও অবস্থান নেন। কর্মসূচিতে রাজশাহী বিভাগের ৮ জেলা থেকে নেতা-কর্মীরা উপস্থিত হতে দেখা যায়। রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. এরশাদ আলীর (ঈশা) সভাপতিত্বে বেলা ১১টার পর থেকেই বিএনপির স্থানীয় ও বিভাগী নেতারা আজকের এই কর্মসূচিতে বক্তব্য দিতে শুরু করেন। তবে কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া নেতাকর্মীদেরকে আইনশৃংখলা বাহিনীর বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

জি/আর