বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ আয়োজনের পরিকল্পনা নিউজিল্যান্ডের

 

বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ আয়োজনের পরিকল্পনা নিউজিল্যান্ডের

করোনাভাইরাসের কারণে গত মার্চ থেকে ক্রিকেট স্তব্ধ ছিল। তবে ৮ জুলাই থেকে ক্রিকেটকে মাঠে ফিরিয়েছে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। ইসিবির জৈব-সুরক্ষা মডেলকে অনুসরণ করে দেশের মাটিতে দ্বিপাক্ষীক সিরিজ আয়োজনের পরিকল্পনা করেছে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড (এনজেডসি)।

এমনটাই জানিয়েছেন এনজেসির প্রধান নির্বাহী ডেভিড হোয়াইট। বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া-উইন্ডিজ ও পাকিস্তানকে নিয়ে চলছে পরিকল্পনা। এসব দেশের বোর্ডের সাথে আলোচনাও চলছে।

নিউজিল্যান্ডে করোনার সংক্রমণ খুব বেশি হয়নি। তারপরও সবক্ষেত্রেই সর্তক ছিল দেশটির সরকার। তবে গত মাস থেকে দেশের পরিস্থিতি অনেকাংশে স্বাভাবিক করেছে তারা। তাই এখন ক্রিকেটকে মাঠে ফেরানোর পরিকল্পনায় রয়েছে এনজেডসি।

সিরিজ আয়োজনের পরিকল্পনার সাথে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে তারা বদ্ধপরিকর। ক্রিকেটকে মাঠে ফেরাতে ইংল্যান্ড যেভাবে জৈব-সুরক্ষা মডেল দাড় করিয়ে উইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ ও এখন পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের আয়োজন করেছে, সেদিকেই মনোযোগ দিয়েছে এনজেডসি।

সিরিজ ও সফর নিশ্চিত হলে নিউজিল্যান্ডে সফরকারী দলকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। এছাড়া সরকারের কড়া স্বাস্থ্য-বিধি মেনে চলার নির্দেশনা দিয়েছেন ওয়াইট।

তাই বাংলাদেশসহ তিনটি দেশের নিউজিল্যান্ড সফর প্রায় নিশ্চিত করেছে ফেলেছে এনজেসি। হোয়াইট বলেন, ‘আমাদের দেশে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। বেশ কিছু বোর্ডের সাথে আলোচনা হয়েছে।

উইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড সফরের বিষয় নিশ্চিত করেছে। বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তান এখানে খেলতে আসবে। সব মিলিয়ে ৩৭ দিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সূচি থাকবে।’

আইসিসির ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম (এফটিপি) অনুযায়ী, নিউজিল্যান্ডের মাটিতে উইন্ডিজ ও পাকিস্তান টেস্ট, টি-টোয়েন্টি খেলবে। বাংলাদেশ খেলবে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি। আর অস্ট্রেলিয়ার সিরিজে থাকবে টি-টোয়েন্টি লড়াই।

যদিও এখনো কোনো সিরিজের সূচিই চুড়ান্ত হয়নি। এছাড়া নিউজিল্যান্ড নারী দলেরও সিরিজের ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনজেডসি। আগামী সেপ্টেম্বরে অস্ট্রেলিয়া সফরে যাবে নিউজিল্যান্ড নারী দল। আর ফেব্রুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডে আসবে অজিরা।

সূত্র কালের কন্ঠ