বাংলাদেশের পরিস্থিতি শ্রীলঙ্কার মতো হতে বাধ্য : ফখরুল

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্কঃ 

আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি শ্রীলঙ্কার মতো হতে বাধ্য। কারণ শিগগিরই দেশে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে যাবে এবং মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে আসবে। আওয়ামী লীগ এই দেশকে পুরোপুরিভাবে একটি ব্যর্থ ও অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। বাংলাদেশের মানুষ জানে আওয়ামী লীগের সব দুর্নীতির খবর।

এ জন্য অবিলম্বে তাদের পদত্যাগ করা উচিত।

আজ শুক্রবার বিকেলে ঠাকুরগাঁওয়ের জগন্নাথপুর ইউনিয়নের বাসুদেবপুর খাগড়াবাড়ি গ্রামে ২০১৪ সালের নির্বাচনি সহিংসতায় নিহত ও আহতদের পরিবারের খোঁজখবর এবং আর্থিক সহায়তা প্রদানকালে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিন, সহ-সভাপতি আল মামুন, অর্থ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শরিফসহ জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপির অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

মির্জা ফখরুল আরো বলেন, আওয়ামী লীগ নেতারা স্বীকার করেছে, তারা কোটি কোটি টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করেছে। সরকারের মদদে ও সিন্ডিকেটের কারণে দেশে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। বাণিজ্যমন্ত্রী নিজেও একজন ব্যবসায়ী। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বাণিজ্যমন্ত্রীর পরিষ্কার ধারণা থাকা উচিত ছিল। ব্যবসায়ীদের বিশ্বাস করে বাণিজ্যমন্ত্রী তাদের সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছেন। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য শুধু বাণিজ্যমন্ত্রী নন, সরকারের পদত্যাগ করা উচিত।

তিনি আরো বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে কেন্দ্র দখল করে আওয়ামী লীগ ১৫৪ জনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করে ক্ষমতা দখল করে। সেই নির্বাচনে মানুষ ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে যায়নি। কোথাও কোথাও জোর করে ভোট দেওয়া হলে সেখানে প্রতিরোধ গড়ে ওঠে। সে সময় অনেকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে এখনো তাদের হয়রানি করা হচ্ছে।

বিএনপি সব সময়ই বলে আসছে, এই দেশে নির্বাচন হতে হবে জনগণের ভোট প্রদানের মধ্য দিয়ে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অতীতের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া নির্বাচন কখনোই সুষ্ঠু হতে পারে না। তাই এই সরকারকে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। যাতে জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারেন এটাই জনগণের দাবি।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে ধন্যবাদ দিয়ে মির্জা ফখরুল আরো বলেন, কাদের সাহেব সত্য কথাই বলেছেন। তার দলের লোকেরা কোটি কোটি টাকা দুর্নীতির মাধ্যমে লুট করে পাচার করেছে। এসব দুর্নীতিবাজ লোকেরা তাদের দলে আছে এবং সেই লোকদের তিনি সম্মেলনে বাদ দিতে চেয়েছেন। এ থেকে স্বীকার করে নেওয়া হচ্ছে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী ও দলের লোকেরা বাংলাদেশকে লুট করে ভঙ্গুর অর্থনীতিকে পরিণত করেছে।

তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশের সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিল না। জনগণের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে খালেদা জিয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংবিধানে সন্নিবেশিত করেছিলেন। কারণ জনগণ চায় নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক। খুব শিগগিরই আন্দোলনের মাধ্যমে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি হতে যাচ্ছে।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ