বৃহস্পতিবার , ৪ আগস্ট ২০১৬ | ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

বাংলাদেশের অলিম্পিক যাত্রীরা

Paris
আগস্ট ৪, ২০১৬ ৮:২৩ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা, এর পরই শুরু হচ্ছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ক্রীড়াযজ্ঞ অলিম্পিক গেমস। শুক্রবার ভোরে ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে এই গেমসের পর্দা উঠবে। এবারের অলিম্পিকে বাংলাদেশ থেকে অংশ নিচ্ছেন সাতজন ক্রীড়াবিদ। একনজরে দেখে নেওয়া যাক তাঁদের সাফল্য-সম্ভাবনা।

সিদ্দিকুর রহমান (গলফ)

প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে সরাসরি অলিম্পিকে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন গলফার সিদ্দিকুর রহমান। শুধু তাই নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রীড়াযজ্ঞের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাও বহন করবেন তিনি।

দেশের প্রথম পেশাদার গলফার সিদ্দিকুর এ পর্যন্ত দুটো এশিয়ান ট্যুরের শিরোপা জিতেছেন। এবার তাঁর সামনে অলিম্পিকে দেশের মুখ উজ্জ্বল করার সুযোগ।

র‍্যাংকিংয়ের সেরা ৬০ গলফার সরাসরি অংশ নেওয়ার সুযোগ পান অলিম্পিকে। আন্তর্জাতিক গলফ ফেডারেশনের প্রকাশিত র‍্যাংকিংয়ে সিদ্দিকুরের স্থান ৫৬তম। তাই সরাসরি রিওতে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন তিনি।

অলিম্পিকে এত দিন শুধু ‘ওয়াইল্ডকার্ড’ নিয়েই অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছেন বাংলাদেশিরা। এবার সরাসরি অংশগ্রহণের সুযোগ পাওয়ায় সিদ্দিকুরকে তাই সবার চেয়ে এগিয়ে রাখতেই হবে।

আব্দুল্লাহ হেল বাকি (শ্যুটিং)

২০০২ সালে ম্যানচেস্টার কমনওয়েলথ গেমসে স্বর্ণপদক জিতে হৈ চৈ ফেলে দিয়েছিলেন শ্যুটার আসিফ হোসেন খান। তা দেখেই শ্যুটিংয়ের প্রতি ভালোবাসাটা বেড় যায় আব্দুল্লাহ হেল বাকির। অবশ্য তাঁর দুই বছর আগেই বিকেএসপির শ্যুটিংয়ে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি।

অনেক আগে থেকে শ্যুটিংয়ে পথচলা শুরু হলেও সাফল্য পেতে কিছুটা সময় লাগে বাকির। ২০০৮ সালে ইসলামাবাদ সাফ শ্যুটিংয়ে প্রথম অংশ নিয়ে দলগত বিভাগে স্বর্ণপদক জিতেন। এরপর টানা চার বছর ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে স্বর্ণ জেতেন তিনি।

বাকির ক্যারিয়ারের সবচেয়ের সেরা সাফল্য ২০১৪ গ্লাসগো কমনওয়েলথ গেমসে। ভারতের অভিনব বিন্দ্রার কাছে হেরে রুপা জেতেন তিনি। অবশ্য এই বিন্দ্রাকে হারিয়েই কমনওয়েলথ গেমসে স্বর্ণ জিতেছিলেন আসিফ।

সেই বাকি এবারের অলিম্পিকের শ্যুটিংয়ে ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে অংশ নিচ্ছেন। কমনওয়েলথ গেমসে সাফল্য পাওয়ায় এবারের অলিম্পিকেও তাঁর প্রতি দৃষ্টি থাকবে সবার।

মেজবাহ আহমেদ (অ্যাথলেটিকস)

মেজবাহ আহমেদের অ্যাথলেটিসে আসা ২০০৭ সালে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা (বিকেএসপি) প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার পর থেকে। ২০০৯ সালে জাতীয় জুনিয়র মিটে প্রথম অংশ নিয়ে চমকে দেন তিনি। জিতে নেন ১০০ ও ২০০ মিটারে দৌড়ে স্বর্ণ পদক। তখনই জানিয়ে দেন ভবিষ্যতে কিছু করে দেখানোর ক্ষমতা রাখেন তিনি।

সে ধারাবাহিকতায় মেজবাহ দারুণ কিছু সাফল্য এনে দিয়েছেন দেশকে। ২০১৩ সালে বাংলাদেশ গেমসে প্রথমবার অংশ নিয়েই দ্রুততম মানব হন। এরপর টানা তিনটি জাতীয় মিটে শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট ধরে রেখেছেন বাগেরহাট থেকে উঠে আসা এই ক্রীড়াবিদ।

তাই এবার সুযোগ পেলেন অলিম্পিক গেমসে অংশ নেওয়ার। উসাইন বোল্টকে দেখেই অলিম্পিকে অংশ নেওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন একদিন, এবার তাঁর সেই স্বপ্নের বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। হয়তো নিজের স্বপ্নের নায়ককে কাছ থেকে দেখারও সুযোগ পাবেন।

শিরিন আক্তার (অ্যাথলেটিকস)

টানা দুই মৌসুম দেশের দ্রুততম মানবী শিরিন আক্তার। সেই সুবাদে এবারের অলিম্পিক গেমসে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেলেন তিনি। নিজের প্রিয় ইভেন্ট ১০০ মিটার দৌড়ে দেশেকে সাফল্য এনে দিতে ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে গেলেন সাতক্ষীরা থেকে উঠে আসা এই অ্যাথলেট।

বিকেএসপিতে পড়ার সময় শিরিন স্বপ্ন দেখতেন একদিন অলিম্পিকে অংশ নেবেন। এবার তাঁর সেই স্বপ্নের বাস্তবায়ন হচ্ছে। শেলি-প্রাইসদের সঙ্গে দৌড়াবেন।

মাহফিজুর রহমান (সাঁতার)

৫০ মিটার ফ্রি স্টাইলে অংশ নেবেন মাহফিজুর রহমান। পর পর দুটি অলিম্পিকে বাংলাদেশের হয়ে অংশ নেওয়া এবারের একমাত্র ক্রীড়াবিদ তিনি। গত লন্ডন অলিম্পিকে বাংলাদেশের হয়ে পতাকাও বহন করেছিলেন তিনি।

পাবনা থেকে উঠে আসার এই সাঁতারু ২০০৩ সালে জাতীয় সাঁতারে প্রথম অংশ নিয়েই স্বর্ণপদক জেতেন। এর পর থেকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দেশকে বহু সাফল্য এনে দিয়েছেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর এই সাঁতারু।

এ ছাড়া ২০১২ সালে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে বিশ্ব সাঁতার চ্যাম্পিয়নশিপে, ২০১৩ সালে স্পেনের বার্সেলোনায় ইস্তাম্বুলে বিশ্ব সাঁতার চ্যাম্পিয়নশিপে ও ২০১৪ সালে গ্লাসগো কমনওয়েলথ গেমসে অংশ নিয়েছেন মাহফিজুর।

সোনিয়া আক্তার (সাঁতার)

সোনিয়া আক্তারও সাঁতারের ৫০ মিটার ফ্রি স্টাইলে অংশ নেবেন। ঝিনাইদহের এই সাঁতারু এবারই প্রথম অলিম্পিকে অংশ নিচ্ছেন।

২০০৩ সালে যশোর শিক্ষা বোর্ডের হয়ে বয়সভিত্তিক সাঁতার দিয়ে তাঁর শুরু। এর পর ২০০৬ সালে জাতীয় জুনিয়র সাঁতারে অংশ নিয়ে ১১টি স্বর্ণপদক জেতেন তিনি। আর ২০১০ সালে ১১টি ইভেন্টে অংশ নিয়ে ১০টি স্বর্ণপদক জিতেছিলেন তিনি। যাতে নয়টি জাতীয় রেকর্ড ছিল।

প্রথম আন্তর্জাতিক মিটে অংশ নেন ২০১০ সালে সিঙ্গাপুরে যুব অলিম্পিক গেমসে। ২০১১ সালে যুক্তরাজ্যে যুব কমওয়েলথ গেমসে এবং ২০১৫ সালে রাশিয়ার কাজানে বিশ্ব সাঁতার চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিয়েছেন তিনি।

শ্যামলী রায় (আর্চারি)

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার শহর নড়াইল থেকে উঠে এসেছেন শ্যামলী রায়। ক্রিকেটার না হয়ে তীর-ধনুক হাতে জাতীয় পার্যায়ে  সাফল্যের ধারাবাহিকতায় এবার রিও অলিম্পিক গেমসের আর্চারিতে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন তিনি।

শ্যামলী আর্চারির রিকার্ভ বো ইভেন্টে অংশ নেবেন। অলিম্পিকে এবারই প্রথম অংশ নিতে যাচ্ছেন তিনি। অবশ্য বড় মঞ্চে এর আগেও অংশ নিয়েছিলেন তিনি। ২০১৪ সালে তুরস্কে বিশ্ব আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপে, একই বছরে ব্যাংককে এশিয়া কাপ ও ইনচন এশিয়ান গেমসে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এই ক্রীড়াবিদ।

 

সূত্র: এনটিভি

সর্বশেষ - খেলা