বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে বিদেশি রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য শোভনীয়য় নয়: খায়রুজ্জামান লিটন


নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাংলাদেশের নির্বাচন পদ্ধতিতে কি হবে, কিভাবে নির্বাচন হবে সেটা ঠিক করবে এই দেশেরে জনসাধারণ, নির্বাচন কমিশন এবং সরকার। কোন বিদেশি রাষ্ট্রদূতের নির্দেশনায় এই দেশে নির্বাচন হবে না। আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে রাষ্ট্রদূতদের প্রকাশ্যে বক্তব্য না দেয়াই ভাল বলে আমি মনে করি। ইদানিং লক্ষ্য করছি বিদেশী রাষ্ট্রদূতরা দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে এমনভাবে কথা বলছেন যা শোভনীয় নয়।  অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের প্রকাশ্যে বক্তব্য, মতামত দেয়া বা নির্দেশনা দেয়া শিষ্টাচার বহির্ভূত। এটা কোন ভাবেই শোভনীয় নয়। বলে উল্লেখ করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে নগর ভবনে চীনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন।

তিনি বলেন, দেশের নির্বাচন পদ্ধতিতে কি হবে, কিভাবে হবে সেটি সরকার, সেটা ঠিক করবে এই দেশেরে জনসাধারণ, নির্বাচন কমিশন এবং সরকার। কোন বিদেশি রাষ্ট্রদূতের নির্দেশনায় এই দেশে নির্বাচন হবে না। আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে রাষ্ট্রদূতদের প্রকাশ্যে বক্তব্য না দেয়াই ভাল বলে আমি মনে করি। ইদানিং লক্ষ্য করছি বিদেশী রাষ্ট্রদূতরা দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে এমনভাবে কথা বলছেন যা শোভনীয় নয়।

বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ ও আন্দোলন সম্পর্কে সাংবাদিকদের খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ২০১৪ সাল থেকেই বিএনরি নেতারা আওয়ামী লীগ সরকারকে লাল কার্ড, হলুদ কার্ড দেখিয়ে আসছে। সে হিসেবে এতো দিন সরকার ক্ষমতায় থাকার কথা নয়। মূলত: তারা এ কথাগুলো রাজনীতির মাঠ গরম করার জন্য বলে। তাদের নেতাকর্মীদের মনবল চাঙ্গা করার জন্য বলে থাকে।

তিনি বলেন, আসলে আন্দোলন করে সরকার পতনের সেই সক্ষমতা বিএনপির নেই। থাকলে অনেক আগে তারা তা কার্যকরি করতে পারবেন। কিš‘ তাদের সেটি নেই। যাকে বল ফাঁকা কলসি বাজে বেশী সে রকম হয়েছে বিএনপির।

এর আগে মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের সাথে বৈঠক করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। বৈঠকে রাজশাহীর বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ নিয়ে আলোচনাসহ মহানগরীর পরি”ছন্নতা ও সবুজায়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন রাষ্ট্রদূত বলে জানান মেয়র।

এস/আই