বাংলাদেশিদের নিয়ে বিদেশিদের ‘মাতব্বরি’ দরকার নেই : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক:

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘যাদের নিজেদের নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ তাদের বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে মাতব্বরি মানায় না। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কোনো লুকোচুরি হয় না। চাইলে যে কোনো দেশ পর্যবেক্ষণ করতে পারে।’ বাংলাদেশ নিয়ে বিদেশিদের ‘মাতব্বরি’ দরকার নেই বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

রবিবার (০৮ জানুয়ারি) সকালে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ছয়টি ই-গেট স্থাপনের উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বাংলাদেশের নির্বাচন পর্যবেক্ষণের ঘোষণা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি এসব কথা বলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ আমরা তাদের (বিদেশি পর্যবেক্ষক) অ্যালাউ করব। উই হ্যাভ নাথিং টু হাইড (আমাদের গোপন করার কিছুই নেই)।’

বাংলাদেশ নিয়ে বিদেশিদের ‘মাতব্বরি’ দরকার নেই বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আমেরিকার ৭২ শতাংশ জনগণ মনে করে আমেরিকার ডেমোক্রেসি খুবই দুর্বল। আর দেশটির রিপাবলিকান পার্টির ৭৭ শতাংশ মনে করে, গত প্রেসিডেন্সি ইলেকশন ছিল ফ্রড ইলেকশন এবং দ্য হ্যাভ স্টোলেন দ্য ইলেকশন। এই রকম তাদের মনমানসিকতা। আমাদের দেশেও কিছু লোক এই ধরনের আছে।’  তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘ওই দেশে অ্যাভারেজ কতজন লোক ভোট দেয়? পঞ্চাশের নিচে ভোট দেয়। আর আমাদের দেশে ৭২, ৮০, ৯০ শতাংশ লোকে ভোট দেয়। আমাদের দেশে ইলেকশন অংশগ্রহণমূলক হয়, স্বতঃস্ফূর্ত হয়।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এই দেশ সৃষ্টি হয়েছিল গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য। যখন (সত্তরের নির্বাচনে) আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্টতা পেল, তখন সরকার গঠন করতে দিল না। তখনই তো আমরা আন্দোলন শুরু করলাম। তারপর জেনোসাইড হওয়ার পর আমরা স্বাধীনতা ঘোষণা করলাম। আমাদের (দেশের) জন্ম হয়েছে ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান জন্য।’

ই-গেটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা ও সেবা বিভাগের সচিব আব্দুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল নুরুল আনোয়ার, সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান, সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন খান, ওসমানী বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক হাফিজ আহমদ প্রমুখ।

ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক হাফিজ আহমদ জানান, ই-গেট চালু হওয়ায় মাত্র ১৮ সেকেন্ডেই ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করতে পারবেন যাত্রীরা। তবে এ জন্য তাদের কাছে ই-পাসপোর্ট থাকতে হবে। তিনি আরো বলেন, ‘বিমানবন্দরে ছয়টি ই-গেট স্থাপন করা হয়েছে। এরমধ্যে তিনটি প্রবেশের, তিনটি বের হওয়ার জন্য। ই-পাসপোর্টধারীরা এসব গেট ব্যবহার করে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করতে পারবেন।’

সূত্র: কালের কণ্ঠ