‘বাংলাদেশকেই ম্যানেজ করতে পারবে না, এলপিএল আয়োজন করবে কীভাবে?’

কণ্ঠে ঝাঁঝালো ভাব ছিল। নিজেদের অবস্থানের ওপর দৃঢ়তাও ছিল বেশ। তাই বলে সংবাদ সম্মেলনে একবারের জন্যও লঙ্কান বোর্ডকে কটাক্ষ করেননি বিসিবি বিগ বস। পরিষ্কার বলে দিয়েছেন, ‘ওরা (লঙ্কানরা) যে শর্ত বেঁধে দিয়েছে এটা ইতিহাসে বিরল। এটা দিয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ সম্ভব নয়। এই খবরটাই ওদের দিতে চাই। আমাদের প্রথম মেসেজ।’

এতটুকু বলেই যে শেষ করেছেন তাও নয়। এরপর বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপনের মুখ থেকে বেরিয়ে এসেছে সমাধানের আভাসও, ‘এরপর তারা (লঙ্কান বোর্ড) যদি বলে, আসেন আলাপ-আলোচনা করি, কি কি মানা যায়, না যায়। তখন আমরা বলবো কি কি শর্ত রয়েছে, কি কি শিথিল করতে হবে। সেটা পরে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে হতে পারে; কিন্তু এই অবস্থায় খেলা হবে না- এটা তাদের বোঝা উচিৎ।’

এরপর আরেক মন্তব্যে লঙ্কান বোর্ড প্রসঙ্গ চলে এসেছে। এখানে প্রশ্ন করা হয়েছে, লঙ্কান বোর্ড কি বাংলাদেশ দলের সদস্য বেশি হলে খরচ বেড়ে যাওয়া নিয়ে ভয় পাচ্ছে? জবাবে পাপন বলেন, ‘এগুলো বলা আসলে খুব কঠিন। কেননা একটা বোর্ড সম্পর্কে এরকম একটা মন্তব্য করা আমার মনে হয় উচিৎ হবে না। আর আমি জানিও না। যেটা জানি এরকম কন্ডিশন থাকলে আমরা যাচ্ছি না।’

কথা উঠেছিল সংখ্যায় যত বেশি হোক আর বহর যতই বড় হোক না কেন, দলতো একটিই। এখন বাংলাদেশ জাতীয় দল আর এইচপির দায়িত্ব নিতে গিয়ে বেসামাল লঙ্কান বোর্ড ও সরকার তাহলে তাদের ফ্র্যাঞ্চাইজি আসর এলপিএল অয়োজনে তো অনেক বেশি দল অংশ নেবে। দেশি-বিদেশি অনেক ক্রিকেটারই অংশ নেবেন। তখন কিভাবে ম্যানেজ করবে লঙ্কান বোর্ড?

বাংলাদেশের একটা দলকেই ম্যানেজ করতে পারবে না, তাহলে সামনে এলপিএল কীভাবে আয়োজন করবে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড। এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন উঠে আসলে বিসিবি প্রধান বলেন, ‘এটা ওরা ভালো বলতে পারবে ভাই; কিন্তু এলপিএল করবে কীভাবে সেটা ঠিক বুঝতে পারছি না। আমাদের একটা দলকেই হ্যান্ডেল করতে পারছে না শ্রীলঙ্কা সরকার, তাহলে এতগুলো ফ্র্যাঞ্চাইজিকে কিভাবে হ্যান্ডেল করবে? আমি তো এটাই বুঝলাম না, একটা দলকেই পারছে না, এতগুলো দলকে কিভাবে পারবে?’