বাঁধ নির্মাণ হলেও দরজা বন্ধ, জবই বিল এলাকায় তলিয়ে গেছে ফসলি জমি

প্রদীপ সাহা,সাপাহার:


মৌসুমী বায়ুর প্রভাব ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা বন্যা এবং পানিউন্নয়ন বোর্ডের নব নির্মিত স্লুইচ গেটে পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্থ হওয়ায় সাপাহার উপজেলার ঐতিহ্যবাহী জবই বিলে প্রচুর পরিমানে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া বিলের ভাটির দিকে কতিপয় স্বার্থন্নেষী ব্যক্তি মৎস্য আহরণের নামে কৃত্রিম বাঁধ তৈরী করে স্রোতের গতিবেগে বাধাগ্রস্থও করছেন।

ফলে উজানের অসংখ্য কৃষকের প্রায় হাজার বিঘা জমির আমন ফসল অথৈই পানির নিচে তলিয়ে গিয়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, প্রকৃতিগত কারণ সহ বিভিন্ন করাণে ওই এলাকার প্রায় দেড় হাজার বিঘা জমির আমন ফসল পানির নিচে তলিয়ে গিয়ে সমুদয় ফসল নষ্ট হয়েছে।

শনিবার সকাল ১০টায় বিল এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ভারতের উজান থেকে নেমে আসা সীমান্ত ঘেঁষা পুর্নভবা নদীর পানি এখন বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সে সাথে জবই বিলের পানিও ফুলে ফেঁপে ওঠে অসংখ্য আমন আবাদের মাঠ নষ্ট করে ফেলেছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কল্যাণ চৌধুরী’র সাখে কথা হলে তিনি জানান, ইতোমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের সাথে আমি কথা বলেছি এবং কৃষকদের সমস্যা সমাধানের জন্য খোঁজ খবর রাখছি।

এদিকে এবছরই পানিউন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক জবই বিল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করে মেইন পয়েন্টে ১২০ ফুট প্রসস্ত জায়গায় ১৪ কপাট বিশিষ্ট একটি স্লুইচ গেট নির্মান করে।তবে মটার বসানোর কাজ এখনো শেষ হয়নি আর এ কারণে দরজা বন্ধ থাকতে দেখা গেছে। যার কারণে বিলের পানি নদীতে নামতে না পেরে বিল এলাকার ওই ফসলি জমি গুলি পানির নিচে তলিয়ে গেছে বলে উপজেলা কৃষি বিভাগ ও ভুক্তভুগি কৃষকরা মনে করছেন।

কয়েক দিন আগে বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ ও জানা জানি হওয়ার পরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিদের্শক্রমে গত কয়েক দিন ধরে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে স্লুইচ গেটের কপাটগুলি খোলার জোর চেষ্টা অব্যহত রয়েছে ফলে বিলের পানি কিছুটা হলেও কমতে শুরু করেছে।

এ ব্যপারে নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের এস ডি সাখাওয়াত হোসেন এর সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন যে সম্প্রতি কিছু দিন পূর্বে সমাপ্ত হওয়া ওই স্লইচ গেটের দরজা তৈরী থেকেই বন্ধ ছিল।

মুলত এই স্লুইচ গেটটি নির্মিত হয়েছে জবই বিলে প্রচুর পরিমানে পানি ও মাছ আটকানোর জন্য। হঠাৎ প্রবল বৃষ্টিপাতে এতো পরিমান পানি বেড়ে যাবে যা ধারণা করা যায় নি। স্লুইচ গেটে বিদ্যুত সংযোগ দেয়া হলেই সহজেই এই সমস্যা সমাধান করা যাবে।

বর্তমানে সেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ না দেয়ায় ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে কপাটগুলি খুলতে একটু বেশী সময় লেগেছে। বর্তমানে ওই গেটের সকল কপাটগুলি খোলা হয়েছে এবং বিলের পানি প্রবল বেগে নিচে নামতে শুরু করেছে বলেও জানিয়েছেন।

স/অ

আরো পড়ুন …

কৃত্রিম বাঁধে বাধাগ্রস্থ জবই বিলের পানি প্রবাহ, তলিয়ে গেছে ফললি জমি