বাঁধনের অভিনয়কে শহীদুল আলম বললেন ‘পাওয়ারফুল পারফর্ম্যান্স’

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক: 

আজমেরি হক বাঁধনের প্রাপ্তির সিন্দুক যেন উপচে পড়ছে ভালোবাসা আর আবেগীয় সম্পদে। এবার বাহবা পেলেন বিখ্যাত আলোকচিত্রী শহীদুল আলমের কাছ থেকে। শুধু তাই নয় বাঁধনের এই অভিনয়কে বললেন ‘পাওয়ারফুল পারফর্মেন্স।’

আজ বুধবার শহীদুল আলম, গীতিয়ারা নাসরিনসহ অনেকেই রেহানা মরিয়ম নূর দেখতে আসেন। যদিও প্রথম অংশটুকু দেখতে পারেননি , তবুও বিস্মিত প্রকাশ করেছেন ছবির অভিনয় প্রসঙ্গে।

সিনেমা শেষ, বাঁধনকে বাহবাও জানিয়েছেন। আজমেরি হক বাঁধন বলেন, ‘উনার (শহীদুল আলম) আমার অভিনয় ভালো লেগেছে। সিনেমা শেষে বলেছেন। আমার সঙ্গে দেখা হয়েছিল, আর আমি নিজেও চেয়েছিলাম উনার সঙ্গে আমার দেখা হোক আমি তাঁকে ভীষণ পছন্দ করি।’

শহীদুল আলম নিজের ফেসবুকে লিখেছেন, ‘দুঃখের বিষয়, আমি দেরিতে পৌঁছেছি ও চলচ্চিত্রের প্রথম দিকের অংশটি মিস করেছি, কিন্তু ছবিটি দেখে আমি খুব অনুপ্রাণিত হয়েছি। বিশেষ করে শক্তিশালী পারফর্ম্যান্স। বাংলাদেশে এমন সুন্দর ছবি তৈরি হতে পারে এটা দেশে আমি আনন্দিত। আমি আবার যাব পুরো সিনেমাটি দেখতে।’

কান চলচ্চিত্র উৎসবে নির্বাচিত হওয়ার পর ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ ও ছবিটির পরিচালক আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ এখন সর্বত্র আলোচনায়। ৭৪তম কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রথমবারের মতো লাল সবুজের পতাকার প্রতিনিধিত্ব করেছে আজমেরি হক বাঁধন অভিনীত আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ পরিচালিত সিনেমা ‘রেহানা মরিয়ম নূর’। মেয়ের এই সাফল্য দেখে বাঁধনের বাবা আমিনুল হক গর্ববোধ করছেন।

৯৪তম অস্কারের আন্তর্জাতিক ফিচার ফিল্ম বিভাগেও দেশের প্রতিনিধিত্ব করবে ‘রেহানা মরিয়ম নূর’। সিনেমার কাহিনি আবর্তিত হয়েছে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষক রেহানা মরিয়ম নূরকে কেন্দ্র করে। সেখানে রেহানা একজন মা, মেয়ে, বোন ও শিক্ষক। এক সন্ধ্যায় কলেজ থেকে বের হয়ে তিনি এমন এক ঘটনা প্রত্যক্ষ করেন, যা তাকে প্রতিবাদী করে তোলে।

এক ছাত্রীর পক্ষ হয়ে সহকর্মী এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে বাধ্য হন রেহানা। একই সময়ে তার ৬ বছরের মেয়ের বিরুদ্ধে স্কুল থেকে রূঢ় আচরণের অভিযোগ করা হয়। এমন অবস্থায় রেহানা তথাকথিত নিয়মের বাইরে থেকে সেই ছাত্রী ও তার সন্তানের জন্য ন্যায়বিচার খুঁজতে থাকেন।

শহীদুল আলম দৃক পিকচার লাইব্রেরির প্রতিষ্ঠাতা। তিনি ২০১৮ সালে টাইম ম্যাগজিনের টাইম বর্ষসেরা ব্যক্তিত্ব ২০১৮ হিসেবে নির্বাচিত হন।

১৯৮৯ সালে দৃক ফটো গ্যালারি প্রতিষ্ঠা করেন শহিদুল আলম। ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠা করেন দক্ষিণ এশিয়ার ফটোগ্রাফি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পাঠশালা। তিনি ছবি মেলারও পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি নেদার‌ল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ডপ্রেস ফটো প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। প্রথম এশীয় হিসাবে তিনি এ সম্মান অর্জন করেন।

সূত্র: কালের কন্ঠ