বাঁচতে চায় রাবির প্রাক্তন শিক্ষার্থী মোসাব্বেরুল 

রাবি প্রতিনিধি:

চার বছরের শিশু সাউদা জাহিন অধরা। খুব ছোট থেকেই বাবার আদুরে মেয়ে। খেলাধুলা, ছবি অঙ্কন থেকে শুরু করে ছড়া বলা, সব কিছুতেই বাবা ছিল তার সঙগী। বাবাকে ছাড়া একটি মুহূর্তও কাঁটে না তার। কিন্তু হুট করে বাবার ব্রেন স্ট্রোক হওয়ায় একা হয়ে গেছে শিশুটি। বাবাকে কাছে পেতে সারাদিন কান্নাকাটি করেও বাবার কাছে যেতে পারছে না সে। কারণ বাবা আইসিউতে ভর্তি। সেখানে তার বাবা এখন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।

অধরার বাবা, মোসাব্বেরুল ইসলাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ম্যানেজমেন্ট স্ট্যাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী ২০০০-২০০১ শিক্ষাবর্ষের প্রাক্তন শিক্ষার্থী। ডাচ বাংলা ব্যাংকের অডিট সেকশনে চাকরি করেন তিনি। মোসাব্বেরুলের গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার গয়রা গ্রামে। স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে থাকতেন ঢাকা জেলার উত্তর বাড্ডায়।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, একটি বেসরকারি অডিট সেকশনে কাজ করতেন মোসাব্বেরুল। কাজের সুবাদে গত ১৬ মে বাগেরহাট জেলার মোল্লার হাট উপজেলায় একটি ব্যাংকে অডিটে যান। সেখানে ২টার দিকে তিনি স্ট্রোক করেন। পরে তার সহকর্মীকে চিকিৎসার জন্য তাকে একটি স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে তাকে খুলনার সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে তিনি সেখানকার জরুরী বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ব্রেন স্ট্রোক করায় তার মাথায় মারাত্মক রক্তক্ষরণ হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। এমতাবস্থায় তাকে উন্নত চিকিৎসা দিতে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

এ বিষয়ে কথা হয় মোসাব্বেরুল ইসলামের স্ত্রী শেখ নিগার সুলতানার সাথে। তিনি বলেন, ‘অধরাকে নিয়েই হাঁসি-খুঁশিতেই সংসার চলছিলো আমাদের। সুখেই ছিলাম আমরা। কিন্তু তার ব্রেন স্ট্রোকের পর মেয়েকে সামলানো কঠিন হয়ে গেছে। ’

চিকিৎসার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মধ্যবিত্ত পরিবার আমাদের। আমার স্বামীর চিকিৎসার জন্য চার লক্ষাধিক টাকা ইতোমধ্যে খরচ করে ফেলেছি। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আরও টাকা লাগবে। কোথায় পাবো এত টাকা।’ তার স্বামীর চিকিৎসার জন্য স্বহৃদয়বান ব্যক্তিদের কাছে সাহায্যের আবেদন জানান তিনি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে রাবির ম্যানেজমেন্ট স্ট্যাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শাওন উদ্দিন বলেন, আমরা ম্যানেজমেন্ট স্ট্যাডিজ বিভাগের একই সেশনের শিক্ষার্থী ছিলাম। আমরা বন্ধুরা মিলে মোসাব্বেরুলের পরিবারকে সাহায্য করছি। এছাড়াও তাঁকে বাঁচাতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করছেন বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে ম্যানেজমেন্ট স্ট্যডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মো. অহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা মানবিক সাহায্যের জন্য আবেদন পেয়েছি। আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী সহযোগিতা করবো।

সহযোগিতা পাঠানোর ঠিকানা: ডাচ বাংলা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট: ১২০১৫৭০০২২৪১৩ (নিগার সুলতানা), রকেট: ০১৭১৬২৭৯৮১৩৫ (শাওন উদ্দিন)

জি/আর