বাঁকা পথে পাক-ভারত সিরিজ আয়োজন করতে চান রমিজ রাজা

ভারত-পাকিস্তান সিরিজ কী একেবারেই অসম্ভব? ক্রিকেটপ্রেমীরা এই দুই দেশের সিরিজ দেখতে যতই মরিয়া হোন না কেন, রাজনৈতিক পরিস্থিতি গত ৯টি বছর ধরে দু’দেশকে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আয়োজন থেকে বঞ্চিত রেখেছে। এমনকি আইসিসি ইভেন্ট ছাড়া আর কোনোভাবেই দু’দলের পরস্পর মুখোমুখি হওয়া সম্ভব হয় না।

পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বেশ কয়েক বছর ধরেই তুমুল চেষ্টা করা হচ্ছে ভারতের সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ আয়োজনের জন্য। কিন্তু বরাবরই ভারতের পক্ষ থেকে বাধা এসেছে। তারা কোনোভাবেই খেলতে চায় না পাকিস্তানের সঙ্গে।

এমন পরিস্থিতিতে নিয়মিত ভারত-পাকিস্তান যেন মুখোমুখি হতে পারে, সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) বর্তমান চেয়ারম্যান রমিজ রাজা। এই লক্ষ্য পূরণে প্রয়োজনে বাঁকা পথে হাঁটতে হলেও হাঁটবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

সর্বশেষ ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি হয়েছিল গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। তবে এখন থেকে নিয়মিত ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজনের একটি বিকল্প রাস্তা খুঁজে বের করেছেন রামিজ রাজা। আইসিসির আগামী বৈঠকে এই নিয়ে আলোচনা করবেন বলেও স্থির করেছেন তিনি।

রমিজের যুক্তিটা সহজ, যদি দ্বি-পাক্ষিক সিরিজে ভারত-পাকিস্তান মাঠে না নামে, তবে বহুদলীয় টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হোক প্রতি বছর। এমনিতে প্রতি বছরই কোনো না কোনো আইসিসি ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। তার ফাঁকেই যদি একটি চার দলীয় ক্রিকেট সিরিজ আয়োজন করা যায় ভারত-পাকিস্তানকে নিয়ে, তবে নিয়মিতভাবেই দু’দেশকে ক্রিকেটের ময়দানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেখা যাবে।

এক্ষেত্রে রামিজ রাজা ভারত-পাকিস্তান ছাড়াও ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে প্রতি বছর একটি চার দলীয় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আয়োজনের প্রস্তাব দিতে চলেছেন আইসিসির বৈঠকে।

এ নিয়ে একটি টুইটও করেন রমিজ রাজা। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘হ্যালে ফ্যানস, আইসিসিতে আমি চার জাতি টি-টোয়েন্টি সুপার সিরিজের প্রস্তাব দিতে যাচ্ছি। যেটা প্রতি বছর আয়োজন হবে এবং এই টুর্নামেন্টে নিয়মিত অংশ নেবে ভারত, পাকিস্তান, ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া। আয়োজকও নির্ধারিত হবে রোটেশন পদ্ধতিতে এই চার দেশের মধ্য থেকে। আবার একটি স্বতন্ত্র রাজস্ব মডেল তৈরি করা হবে। যাতে করে লভ্যাংশ আইসিসির অন্যসব সদস্য দেশের মধ্যে ভাগ করে দেয়া যায়।’

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের পর থেকে ভারত-পাকিস্তান কোনো দ্বি-পাক্ষিক ক্রিকেট সিরিজে মুখোমুখি হয়নি। তবে এসিসি ও আইসিসি ইভেন্টগুলিতে তারা পরস্পরের বিরুদ্ধে খেলতে নামে।

 

সূত্রঃ জাগো নিউজ