বন্দিদের মুক্তির শর্তে পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে এরই মধ্যে একাধিকবার আলোচনা করেছে পাকিস্তান তালেবান। সম্পূর্ণভাবে যুদ্ধ বিরতির জন্য আলোচনা চালিয়ে যেতে চায় পাকিস্তান তালেবান। সেজন্য তাদের সদস্যদের মুক্তির দাবি জানিয়েছে তারা। একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে আরব নিউজ (৭ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।

পাকিস্তানের তালেবান তেহরিক-ই তালেবান পাকিস্তান নামেও পরিচিত। এ গোষ্ঠীটি আফগান তালেবান থেকে আলাদা। আফগান তালেবানের সহায়তায় দুই দফায় প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে তাদের মধ্যে। আফগানিস্তানের কুনার প্রদেশের এক কমান্ডার এ তথ্য জানিয়েছেন।

একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, হাক্কানি নেটওয়ার্কের প্রধান ও আফগান তালেবানের বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সিরাজুদ্দিন হাক্কানি পাকিস্তান সরকার ও পাকিস্তান তালেবানের মধ্যে আলোচনায় সহায়তা করছেন।

পাকিস্তান তালেবান ২০০৭ সাল থেকে পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। কয়েকটি জিহাদি গোষ্ঠীর সমন্বয়ে পাকিস্তান তালেবান গঠিত। বিদেশি জঙ্গি সংগঠন হিসেবে এ গোষ্ঠীটি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের তালিকায় রয়েছে।

গত মাসে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তুরস্কের টিআরটি টেলিভিশনকে বলেন, তার সরকার সমন্বয় সাধনের অংশ হিসেবে এসব গোষ্ঠীর কিছু অংশের সঙ্গে আলোচনা করছে।

আফগানিস্তানের কুনার প্রদেশ থেকে এক তালেবান কমান্ডার বলছেন, আলোচনার তাৎক্ষণিক ফলাফলের ব্যাপারে আমরা খুব বেশি আশাবাদী নই। তবে আলোচনায় আমাদের নেতারা বন্দিদের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে পাকিস্তান সরকারের কোনো দপ্তর থেকে এখনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

জানা গেছে, চুক্তি স্বাক্ষর না হওয়া পর্যন্ত উভয় পক্ষ শান্তি প্রক্রিয়াকে সমর্থন বা বিরোধিতা করে অথবা একে অপরের বিরুদ্ধে কোনো বিবৃতি জারি না করতে সম্মত হয়েছে।

গত কয়েক বছর ধরে পাকিস্তান তালেবানের হামলায় দেশটিতে হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য নিহত ও আহত হয়েছেন। এখনো ওই গোষ্ঠীর চার থেকে পাঁচ হাজার যোদ্ধা সক্রিয় রয়েছে।

 

সূত্রঃ জাগো নিউজ