শনিবার , ১৭ আগস্ট ২০১৯ | ১৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

বকেয়া পরিশোধ না হলে চামড়া বিক্রি বন্ধের ঘোষণা আড়তদারদের

Paris
আগস্ট ১৭, ২০১৯ ৩:০৮ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

বকেয়া টাকা পরিশোধ না করলে এবার ট্যানারি মালিকদের কাছে চামড়া বিক্রি করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন পুরান ঢাকার পোস্তার কাঁচা চামড়ার আড়তদাররা।

রাজধানীর লালবাগের পোস্তায় শনিবার আড়তদারদের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভা শেষে সাংবাদিকদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান কাঁচা চামড়া আড়তদারদের সংগঠন বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিএইচএসএমএ) সভাপতি দেলোয়ার হোসেন। এ সময় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. টিপু সুলতানসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘ট্যানারি মালিকদের কাছে আড়তদারদের প্রায় ৪০০ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ট্যানারি মালিকরা এই বকেয়া টাকা পরিশোধ না করায় এবারের কোরবানিতে কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করা যায়নি। এতে কোরবানির বিপুল চামড়া নষ্ট হয়ে গেছে। এ টাকা পরিশোধ না করা পর্যন্ত ট্যানারি মালিকদের কাছে চামড়া বিক্রি করব না। সভায় আমরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে জানিয়ে দেলোয়ার হোসেন বলেন, আগামীকাল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ট্যানারি মালিক, আড়তদার ও কাঁচা চামড়া সংশ্লিষ্টদের বৈঠক আছে। সেখানে আলোচনার পর আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব। আজকে চামড়া বিক্রি করার কথা থাকলেও আমরা এখন থেকে আর বিক্রি করব না।

ট্যানারি মালিকদের কারণে চামড়ার দাম কমেছে অভিযোগ করে আড়তদারদের এ নেতা বলেন, ট্যানারিগুলো বকেয়া টাকা না দেয়ায় এবার অর্থের অভাবে চামড়া কিনতে পারিনি। অন্যান্য বছর ঈদের আগেরদিন আড়তদারদের সঙ্গে আলোচনা করলেও এবার তারা কোনো কথা বলেনি। তারা যদি আমাদের আশ্বস্ত করত ন্যায্য দামে চামড়া কিনতে তাহলে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হতো না। কিন্তু এটি না করে উল্টো মিডিয়ার কাছে নানা কথা বলেছেন। এ কারণে আরও দর কমেছে। তাই ট্যানারি মালিকরাই এ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা চামড়া কিনছি বিক্রির জন্যই। কিন্তু ট্যানারি মালিকরা আমাদের জিম্মি করে রেখেছে, আমরা এই জিম্মিদশা থেকে মুক্তি চাই। আমরা চাই ট্যানারি মালিকগুলো আমাদের বকেয়া টাকা পরিশোধ করুক।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মাঠ পর্যায়ে চামড়া নিয়ে যা ঘটছে তা বাংলাদেশের ইতিহাসে বিরল। এই ঘটনাটি একমাত্র ঘটেছে ট্যানারি মালিকদের কারণে। তারা যদি আড়তদারদের পাওনা টাকা পরিশোধ করতো, তাহলে আমরা খরিতদারদের টাকা দিতাম চামড়া কেনার জন্য। আর এটা করা গেলে চামড়া নিয়ে এত বড় ঘটনা ঘটতো না।

এদিকে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী কোরবানির পশুর লবণযুক্ত কাঁচা চামড়া কেনা শুরু করেন ট্যানারি মালিকরা। আনুষ্ঠানিকভাবে ট্যানারি মালিকরা লবণযুক্ত কাঁচা চামড়া আজ থেকে কেনা শুরু করে। আগামী দুই মাস চামড়া সংগ্রহ করা হবে।

এবারও পবিত্র ঈদুল আজহার আগে সরকার ও ব্যবসায়ীরা মিলে কোরবানির পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করে দেয়। এবার ঢাকায় প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম ৪৫-৫০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৩৫-৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

এ ছাড়া সারাদেশে খাসির চামড়া প্রতি বর্গফুট ১৮-২০ টাকা এবং বকরির চামড়া ১৩-১৫ টাকায় সংগ্রহ করতে বলা হয় ব্যবসায়ীদের। গতবার খাসির চামড়ার দামও ছিল একই।

চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হলেও কোথাও এর প্রতিফলন ঘটেনি। ন্যায্য দাম না পেয়ে অনেকে চামড়া মাটিতে পুঁতে ফেলেন।

সর্বশেষ - জাতীয়