বউয়ের জন্য আইপিএল বিসর্জন!

আধুনিক ক্রিকেটের অন্যতম সেরা পেসার। নিখুঁত ইয়র্কার আর দুইদিকেই বল সুইং করানোর সামর্থ্য, আর দশজন বোলারের থেকে আলাদা করে রেখেছে মিচেল স্টার্ককে।

এই তো গত ওয়ানডে বিশ্বকাপের কথা। ২০১৯ সালে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলসে অনুষ্ঠিত আসরে ১০ ম্যাচ খেলে ২৭ উইকেট শিকার করেন স্টার্ক। ছিলেন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি।

এমন একজন গতিতারকাকে নিয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে কাড়াকাড়িই পড়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু গত পাঁচ বছরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে কোনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেননি ক্লার্ক। আইপিএল, বিগ ব্যাশ লিগের মতো জনপ্রিয় টুর্নামেন্টেও তিনি অনুপস্থিত। কারণটা কি?

মঙ্গলবার স্টার্ক নিজেই খোলাসা করলেন আসল ঘটনা। অনেকেই হয়তো জানেন, স্টার্কের স্ত্রী অস্ট্রেলিয়া নারী দলের তারকা ক্রিকেটার অ্যালিসা হিলি। মূলত তার জন্যই অসি পেসার ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলো খেলেন না।

হিলির জন্য খেলেন না মানে? স্টার্কের স্ত্রী কি স্বামীর খেলা আটকে রাখেন? আসলে তেমন কিছু নয়। যেহেতু দুজনই জাতীয় দলের খেলোয়াড়, ব্যস্ত সূচি থাকে বছরময়। তাই অবসরে স্ত্রীকে সময় দিতে গিয়েই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলো বিসর্জন দেন স্টার্ক।

অসি পেসার বলেন, ‘টাকাটা হয়তো বড় ব্যাপার। কিন্তু তিন ফরমেটের ক্রিকেট শিডিউলের সঙ্গে একজনের খাপ খাইয়ে নেয়া যথেষ্ট কঠিন। আমার স্ত্রীর পুরোপুরি আলাদা শিডিউলে খেলা থাকে, সেটাও সবার জানা। এই বিষয়টি আমি খুব গুরুত্বের সঙ্গে নেই, যাতে আমরা একসঙ্গে সময় কাটাতে পারি। সম্ভত আইপিএল যখন চলে, তখন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার অবসর থাকে।’

স্বামী হিসেবে এতটাই দায়িত্ববান স্টার্ক, গত মার্চে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া নারী দলের ফাইনালে সমর্থন জানাতে আগেভাগেই দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকে দেশে ফিরে এসেছিলেন এই পেসার।

স্টার্ক বলেন, ‘আমরা গত আট সপ্তাহ একসাথে কাটাতে পারছি। এই সময়টা আমাদের দরকার। কোনো চুক্তির জন্য তো এটা বিসর্জন দিতে পারি না। কয়েকটা বাড়তি সপ্তাহ বাড়িতে থাকার জন্য আমি বিবিএলও (বিগব্যাশ) ছেড়ে দিয়েছি। শুধু আইপিএল বা অন্য কোনো দেশের লিগের বেলায় নয়, অস্ট্রেলিয়ার বেলায়ও এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি।’