ফেসবুকে পোস্ট: বাঘায় ছাত্রলীগ কর্মীকে পেটালেন প্যানেল মেয়র পিন্টুর সমর্থকেরা

নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহীর বাঘা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কার্যালয় থেকে ফিল্মি কায়দায় ধরে নিয়ে গিয়ে ছাত্রলীগের এক কর্মীকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে পৌরসভার প্যানেল মেয়র শাহিনুর রহমান পিন্টুর সমর্থকেরা। আজ বুধবার (২৯ জুলাই) বেলা সোয়া ১২টার দিকে উপজেলা চত্বরে এই ঘটনাটি ঘটেছে।

জানা যায়, বাঘা পৌরসভার বানিয়াপাড়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে ছাত্রলীগকর্মী শিমুল আহম্মেদ কয়েকদিন আগে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি, সাবেক এমপি আবদুল ওয়াদুদ দারা ও সাহেদের ছবি দিয়ে তার ফেসবুকে একটি আপত্তিকর মন্তব্য করেন। এর জের ধরে বুধবার উপজেলার চেয়ারম্যোন এ্যাড. লায়েব উদ্দিন লাভলুর কার্যালয় থেকে ফিল্মি কায়দায় ধরে নিয়ে গিয়ে দোতালার নিচে বাঁশের লাঠি ও কিলঘুষি মেরে গুরুতর জখম করে। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

শিমুল আহম্মেদ চলতি শিক্ষাবর্ষে রাজশাহী সিটি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেছে। তার কপালে ৬টি সেলাই দেয়া হয়েছে এবং শরীরের বিভিন্নস্থানে কালশিরা দাগ রয়েছে।

শিমুল আহম্মেদ বলেন, গত ২৫ জুলাই আমার নিজস্ব এসকে শিমুল খান ফেসবুক আইডিতে ’এক সাহেদ কারাগারে লক্ষ সাহেদ ধরা ছোঁয়ার বাইরে’। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি, সাবেক এমপি আবদুল ওয়াদুদ দারা ও সাহেদের ছবি দিয়ে এমন মন্তব্য করা হয়। আমার নিজের ভুল বুঝতে পেরে এক ঘন্টা পরে মন্তব্য ফেসবুক আইডি থেকে সরিয়ে নেয়া হয়। তারপরও স্থানীয় আ.লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে। তারপরে স্থানীয় নেতাকর্মীরা হুমকি দিতে থাকে।

বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড. লায়েব উদ্দিন লাভলুকে অবগত করতে যায়। তারা আমাকে দেখে মারপিট করার জন্য এগিয়ে আসে। এ সময় বিষয়টি নিয়ে আ.লীগের নেতাকর্মীদের চেয়ারম্যান বুঝানোর চেস্টা করেও ব্যর্থ হন। এক পর্যায়ে আমাকে চেয়ারম্যানের কার্যালয় থেকে ফিল্মি কায়দায় ধরে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে পৌরসভার প্যানেল মেয়র শাহিনুর রহমান পিন্টুর পোষ্যবাহিনী।

এ বিষয়ে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক শিরিন শারমিন বলেন, তার কপালে ৬টি সেলাই দেয়া হয়েছে এবং শরীরের বিভিন্নস্থানে কালশিরা দাগ রয়েছে।

বাঘা পৌরসভার প্যানেল মেয়র শাহিনুর রহমান পিন্টু বলেন, আমার নেতা পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ফেসবুকে বিরুপ মন্তব্য করায় তাকে আমার ছেলেপেলেরা দুই/একটি চড় থাপ্পড় মেরেছে।

বাঘা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের এ্যাড. লায়েব উদ্দিন লাভলু বলেন, বিষয়টি নিরসনের জন্য তাদের বুঝিয়ে ব্যর্থ হয়েছি। তবে আমার অফিস থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে এমন ঘটনায় আমি মর্মাহত হয়েছি।

বাঘা থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি আমার জানা নেই। মারপিটের বিষয়ে অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনী ব্যবস্থা নিব। তবে প্যাানেল মেয়র শাহিনুর রমহান পিন্টু আমাকে ফোন দিয়ে জানিয়েছেন তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা করবেন।

স/অ