বুধবার , ১৫ মে ২০১৯ | ১৩ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

ফেলে যাওয়া সেই নবজাতককে দত্তক নিতে শত শত ফোন থানায়

Paris
মে ১৫, ২০১৯ ৩:১২ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

রাজধানীর শিশু হাসপাতালের টয়লেট থেকে উদ্ধার করা জীবিত নবজাতকটিকে দত্তক নিতে চাইছেন অনেকে। তাই শেরে বাংলা নগর থানায় আসছে শত শত ফোন। এদিকে শিশুটির নিরাপত্তার জন্য হাসপাতালের ওই কেবিনের বাইরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে শিশু হাসপাতালের কমন বাথরুমে এক নবজাতকে পরে থাকতে দেখে রোগী ও দর্শনার্থীরা। তখন ওই হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টারকে তারা ঘটনা জানান। হাসপাতালের কর্মীরা নবজাতটিকে দ্রুত উদ্ধার করে ওই হাসপাতালেই ভর্তি করান।

এ ঘটনার পর শিশুটির বাবা-মাকে খুঁজতে তদন্ত করছে পুলিশ। আজ বুধবার সকাল পর্যন্ত তার বাবা-মাকে পাওয়া পাওয়া যায়নি। এদিকে হাসপাতাল ও আশেপাশের সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজ দেখে শিশুটিকে কে বা কারা গেলে গেছেন সেই রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করছে পুলিশ।

এ ব্যাপারে শেরে বাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানে আলম গণমাধ্যমকে বলেন, আজ বুধবার সকাল পর্যন্ত কেউ শিশুটিকে নিজের বলে দাবি করেনি। তবে শিশুটির জন্য রাত থেকে আমার কাছে, শেরে বাংলা নগর থানার ডিউটি অফিসার এবং ইন্সপেক্টর তদন্তের মোবাইলে শত শত ফোন আসছে। সকাল থেকে আমি নিজেই ১০০’র বেশি ফোন রিসিভ করেছি। সবাই শিশুটিকে দত্তক নিতে চাচ্ছেন। আমরা আইনি প্রক্রিয়া অনুযায়ী তদন্তের কাজ করছি।

তিনি আরো বলেন, রাত থেকেই শিশুটিকে দেখতে ও দত্তক নিতে হাসপাতালে অনেকেই ভিড় করেছেন। এতে শিশুর স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ার আশঙ্কায় তার কেবিনের বাইরে পুলিশ মোতায়েন করেছি। চিকিৎসক ও তদন্ত সংশ্লিষ্ট ছাড়া কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।

পুলিশের তেজগাঁও জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) মাহমুদ হাসান বলেন, শিশুটির বাবা-মাকে খুঁজতে রাতে ডিসি-তেজগাঁও-ডিএমপি ফেসবুক পেইজে ছবিসহ একটি পোস্ট দেওয়া হয়। এরপর থেকে অনেক ফোন আসছে শিশুটিকে দত্তক নেওয়ার জন্য। অনেকে ফেসবুক পোস্টের নিচেই তাদের দত্তক নেয়ার জন্য নাম-ঠিকানা ও সিরিয়াল দিয়ে রাখছেন। আমরা তার বাবা-মাকে খুঁজে বের করতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। পরবর্তীতে শিশু আইনে আদালত যা সিদ্ধান্ত দেবে পুলিশ সেটা মেনেই কাজ করবে।

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক