ফেব্রুয়ারি হতে কথা হবে আরও ৪ দেশি অ্যাপে

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

ফেব্রুয়ারির মধ্যে চালু হচ্ছে কথা বলার আরও চারটি দেশি অ্যাপ।

২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে চারটি আইপিটিএসপি বা  আইপি টেলিফোনি সেবাদাতা কোম্পানিকে এসব অ্যাপ চালুর অনুমোদন দেয় বিটিআরসি।

কোম্পানিগুলো হলো আম্বার আইটি লিমিটেড, বিডিকম অনলাইন লিমিটেড, মেট্টোনেট বাংলাদেশ এবং লিংক থ্রি টেকনোলজি লিমিটেড।

এর  আগে একই বছরের শুরুর দিকে দিকে ইন্টারক্লাউড নামের আরেকটি কোম্পানি এই সেবা চালুর অনুমোদন পায়। তারা এপ্রিলে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিলিয়ান্ট কানেক্ট নামে এমন অ্যাপ বাজারে আনে।

হোয়াটসঅ্যাপ-ভাইবারের মতো অ্যাপগুলোতে শুধু ইন্টারনেটে অ্যাপ হতে অ্যাপে কথা বলা যায়। কিন্তু ইন্টারনেটভিত্তিক টেলিফোন বা আইপি টেলিফোনের অ্যাপে সাধারণ মোবাইল নেটওয়ার্কে বা ল্যান্ডলাইনে কথা বলা যাবে। এ অ্যাপে ইন্টারনেট, সাধারণ মোবাইল নেটওয়ার্ক বা ল্যান্ডফোন যে কোনো মাধ্যমে কথা বলার সুবিধা রয়েছে। আর এই আইপি ফোন হতে আইপি ফোনে কথা বলতে কোনো খরচ লাগে না।

আম্বার আইটির সিইও আমিনুল হাকিম টেকশহরডটকমকে জানান, দু’মাসের মধ্যে তাদের অ্যাপটি বাজারে আসবে। এই অ্যাপে প্রতি মিনিট ৩০ হতে ৪০ পয়সায় কথা বলা যাবে।

মেট্রোনেট বাংলাদেশের সিইও সৈয়দ আলমাস কবীর জানান, বৃহস্পতিবার বিটিআরসি হতে অনুমোদনপত্র পেয়েছেন। এখন বেশ কিছু নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে হবে।  সেবা চালুর জন্য ৫ কোটি টাকা জামানত রাখা, বিটিআরসরি ৫জন কর্মকর্তাকে এই বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়াসহ বেশ কিছু বিষয় রয়েছে।

‘তারা হোয়াটসঅ্যাপ-ভাইবারের মতো কথা বলার সুবিধা রেখে দেশের ব্যবহারকারীদের জন্য বিশেষ কিছু ফিচারসহ অ্যাপটি ইতোমধ্যে তৈরি করেছেন। অ্যাপটির নাম মেট্রোটেল। মাস দু’য়েকের মধ্যে অ্যাপটি আনুষ্ঠানিকভাবে বাজারে আনতে পারবেন’ বলছিলেন আলমাস কবীর।

খরচের বিষয়ে তিনি বলছেন, মিনিটে ৩০ হতে ৪০ পয়সার মধ্যেই কথা বলতে পারবেন গ্রাহকরা।

এদিকে চালু থাকা ব্রিলিয়ান্ট কানেক্ট অ্যাপে যেকোনো মোবাইল বা ল্যান্ড নম্বরে ৩০ পয়সা প্রতি মিনিটে কথা বলা যাচ্ছে। এতে ১ সেকেন্ড পালসও রয়েছে।

লিংক থ্রি জানিয়েছে তারাও আনুষ্ঠানিকভাবে দ্রুত অ্যাপটি বাজারে আনবেন।

বর্তমানে আইপি টেলিফোনি অপারেটরগুলো ডেস্কটপে ব্যবহারের জন্য সফট ফোনের এবং সাধারণভাবে ব্যবহারে টেলিফোন সেট বা হার্ডফোনের অপশন দিয়ে থাকে।

কিন্তু একজন গ্রাহক এমন ক্ষেত্রে আইপি ফোন ব্যবহারের মবিলিটি নিতে গেলে অসুবিধায় পড়েন । গুগল প্লে থেকে এ সংক্রান্ত অ্যাপ ডাউনলোড করলেও দেখা যায় সেখানে অনেক পোর্টের লিমিটেশন থাকে। আবার টেলিফোন অপারেটরগুলো হতে পোর্টগুলো বন্ধ থাকে। ওয়াইফাই দিয়ে কথা বলা গেলেও জিপিআরএস, থ্রিজি-ফোরজি দিয়ে কথা বলতে পারেন না।

কিন্তু এখন আইপি টেলিফোনের অ্যাপে এসব কোনো সমস্যা থাকবে না এবং আইপি টেলিফোনি সেবায় এটি নতুন মাত্রা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।

দেশে এখন আইপিটিএসপি সেবার জন্য ৪১ প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আইপিটিএসপিগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে অ্যাপে ভয়েস কল সেবা দিতে শুরু করলে অপারেটরগুলোর রাজস্বে প্রভাব পড়বে।