ফিলিপাইনে আঘাত হানলো সুপার টাইফুন রাই

ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলে সুপার টাইফুন ‘রাই’ আঘাত হেনেছে। বন্যা ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় এরই মধ্যে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে দেশটির মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলের কয়েক লাখ বাসিন্দাকে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

জানা গেছে, সুপার টাইফুনটি ফিলিপাইনরে জনপ্রিয় পর্যটন দ্বীপ সিয়ারগাওয়ের স্থলভাগে আছড়ে পড়েছে। এসময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৭৫ কিলোমিটার। দ্বীপটির কিছু অংশে বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ লাইন বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

জাতিসংঘ জানিয়েছে সুপার টাইফুনটির প্রভাবে এক কোটি ৩০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

দেশটির ফ্লাইট চলাচল ও বন্দরগুলো আপাতত বন্দ রাখা হয়েছে। এই বছর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুনের মধ্যে রাই অন্যতম। ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব দ্য রেড ক্রসের স্থানীয় প্রধান আলবার্তো বোকানেগ্রা বলেন, এই দানবীয় ঝড়টি খুবই ভীতিকর। যা দেশটির উপকূলের বাসিন্দাদের মারাত্মক হুমকির মুখে ফেলেছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা গেছে ফিলিপাইনের কোস্ট গার্ড সদস্যরা উপকূলে বসবাস করা পরিবারগুলোকে সরিয়ে নিচ্ছে। এ সুপার টাইফুনে এখনো কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

এর আগে ফিলিপাইনের জাতীয় দুর্যোগ প্রশমন সংস্থা এনডিআরআরএমসি ঘূর্ণিঝড় রাইয়ের কারণে দেশটির আটটি অঞ্চলে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করে। এই অঞ্চলগুলোতে বসবাস করে তিন কোটির বেশি মানুষ। ঝড়ের কারণে অনেক এলাকাতেই লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সেবু প্রদেশসহ একাধিক অঞ্চলে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সবধরনের কাজকর্ম।

ইস্টার্ন সামার প্রদেশের গভর্নর বেন এভারডোন জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত সেখানকার প্রায় ৩০ হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

পূর্বাঞ্চলীয় ভিসায়াসের অন্য এলাকাগুলো থেকে সরানো হয়েছে ১৭ হাজারের বেশি মানুষ। সুরিগাও প্রদেশে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়া হয়েছে অন্তত ৫১ হাজার বাসিন্দাকে। এছাড়া, বুধবার বিকেলের আগে তাডাং শহর থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে ৬২ হাজারের বেশি মানুষকে।

 

সূত্রঃ জাগো নিউজ