ফলাফলের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রস্তাব, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত শনিবার

বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে করণীয় ঠিক করতে  বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) আলোচনায় বসেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা। সেখানে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে এসএসসি ও এইচএসসির ফলের ভিত্তিতে ভর্তির প্রস্তাব আসে।

তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে আগামী শনিবার (১৭ অক্টোবর) পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। ওইদিন সভা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন উপাচার্যরা।

অনলাইন এই বৈঠকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হারুন অর রশিদ শিক্ষার্থীদের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রস্তাব দেন।

এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক হারুন অর রশিদ বলেন, গত কয়েক বছর ধরে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করানো হচ্ছে। চলমান করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন কঠিন হয়েছে দাঁড়িয়েছে। তাই দুই পাবলিক পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রস্তাব দিয়েছি।

গুচ্ছভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য মীজানুর রহমান বলেন, সভায় ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। তবে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আগামী শনিবার এ বিষয়ে আলোচনা করতে উপাচার্যদের নিয়ে আবারও বৈঠক হবে। সেখানে হয়তো সিদ্ধান্ত আসতেও পারে।

সভায় কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর, অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, রাজশাহী বিশ্বদ্যিালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আব্দুস সোবহান, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীন আক্তার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদসহ ৪৬ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, কমিশনের সচিব (অ.দ.) ড. ফেরদৌস জামান, জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের পরিচালক ড. শামসুল আরেফিন ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক মো. কামাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।