প্রেমের টানে বাংলাদেশে এসে জেলে গেলেন ভারতীয় তরুণী

প্রেমের টানে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে এসে এখন অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের দায়ে কারাগারে ভারতীয় তরুণী। বৃহস্পতিবার বিকেলে দোয়ারাবাজার থানা পুলিশ তাকে আদালতে প্রেরণ করলে আদালত কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। আটক মঞ্জুরা বেগম ভারতের আসাম রাজ্যের কামরুপ জেলার চাংসারি থানার টাপার গ্রামের মুগুর আলীর মেয়ে।

পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার ওই তরুণী দোয়ারাবাজার সীমান্তের বাংলাবাজার এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেন। জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের উত্তর কলাউড়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে আব্দুস সাত্তার পাঁচ বছর আগে একটি মামলায় আসামি হলে পালিয়ে যান ভারতের আসামে। সেখানেই তার পরিচয় হয় মঞ্জুরা বেগমের সঙ্গে। তাদের মধ্যে গড়ে উঠে ভালোবাসার সম্পর্ক। বছর খানেক পরে সাত্তার চলে আসেন বাংলাদেশে। দেশে আসার পর তিনি আবারো বাহরাইন চলে যান। দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে মোবাইলের মধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক চলতে থাকে। মঙ্গলবার দোয়ারায় এসে ওই তরুণী সরাসরি প্রেমিকের বাড়িতে ওঠেন। মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই বাহরাইনে থাকা আব্দুস সাত্তারের সঙ্গে তাকে আত্মীয়রা বিয়ে দেন।

এদিকে ভারতীয় তরুণীর বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের খবর পেয়ে স্থানীয় বিজিবি গিয়ে তরুণীকে আটক করে নিয়ে আসে। পরে পুলিশে সোপর্দ করে। বাংলাদেশে পুলিশ বৃহস্পতিবার দুপুরে মেয়েটিকে আদালতে সোপর্দ করলে আদালত তাকে বিকেলে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেয়।

দোয়ারাবাজার থানার ওসি মো. নাজির আলম বলেন, আসাম রাজ্যের মঞ্জুরা বেগমকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশের মামলা দেওয়া হয়েছে।

সুনামগঞ্জের কোর্ট ইন্সপেক্টর সেলিম নেওয়াজ বলেন, দোয়ারাবাজার আমলগ্রহণকারী আদালত মঞ্জুরা বেগমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।