প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বরণে প্রস্তুত রাজশাহী, সাত লাখ মানুষের সমাগমের আশা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

আগামীকাল রোববার রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠের জনসভায় যোগ দিতে আসবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন।। তার আগমন ঘিরে গোটা রাজশাহীজুড়ে যেন উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়েছে। বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে রাজশাহী নগরীকে। ঝক ঝকে তক-তকে রাজশাহী নগরী উপহার দেওয়ার জন্য সিটি করপোরেশনের কর্মীদের নিরলস পরিশ্রম চলছে। ব্যানার, ফেস্টুন, বিলবোর্ডে পাল্টে গেছে নগরীর চিত্র। শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে উন্মুখ হয়ে আছেন রাজশাহীর সর্বস্তরের মানুষ।

রোববার বিকেলে রাজশাহীর মাদ্রাসা মাঠে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় তিনি ১৬০০ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজশাহীতে বিভিন্ন চলমান ৩১টি উন্নয়ন প্রকল্পের ফলক উন্মোচন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। জনসভকে ঘিরে আওয়ামী লীগের নেতাদের ছবি সংবলিত ব্যানার-ফেস্টুন ও তোরণে ভরে গেছে পুরো শহর। সড়ক বিভাজকগুলোতে করা হয়েছে রঙ।

এদিকে, শনিবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে মাদ্রাসা ময়দানে গিয়ে দেখা গেছে, মঞ্চ তৈরির কাজ শেষ। মাঠও প্রস্তুত রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ প্রচার করতে শহরজুড়ে আগেই লাগানো হয়েছে মাইক। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের পক্ষ থেকে মাঠের পাশে বসানো হয়েছে অস্থায়ী টয়লেট। রাজশাহী ওয়াসা ব্যবস্থা করেছে পানি সরবরাহের। জনসভাস্থলে নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। শহরজুড়েও চলছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর টহল।

এদিকে,
রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র ও আওয়াশী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘আগামীকালের জনসভা উপলক্ষে সব ধরনের প্রস্তুতি আমরা সম্পন্ন করেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৫ বছরে সারাদেশের মতো রাজশাহীতেও অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছেন। এ জনসভা থেকে আমরা তাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। জনসভায় বিপুল সংখ্যক নতুন প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরাও অংশ নিবেন। সবিমিলিয়ে ৫-৭ লাখ মানুষের সমাগম হবে এ জনসভায়।’মেয়র লিটন বলেন, ‘রাজশাহী ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠটিতে বেশি লোকের জায়গা হবে না। সে জন্য আমরা এ মাঠের সঙ্গে ঈদগাহ মাঠটিকে সংযুক্ত করেছি। আশেপাশের সিএন্ডবি মোড়, ফায়ারা বিগ্রেড মোড় থেকে চারিদিকে অন্তত ২০০ মাইকের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১২টি প্রযেক্টরের মাধ্যমে জনসভায় আগত মানুষ মাঠে ঢুকতে না পারলেও প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শুনতে ও দেখতে পারবেন। এছাড়াও দেড় লাখ বোতাল পানি, টয়লেটসহ আনুসঙ্গিক সব ব্যবস্থায় আমরা রেখেছি। ফলে স্মরণকালের সবচেয়ে বিশাল জনসভা হবে এটি।’

 স/আর