রাজশাহীর সমাবেশে মির্জা আব্বাস

‘প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে চিরদিনের জন্য থাকতে হবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, একসময় এই তত্ত্বাবাধায়ক সরকারের দাবি ছিলো জামাত ও আওয়ামী লীগের। এই আওয়ামী লীগ ও জামাত মিলে বলেছিলো এই সময়ের সরকার তত্ত্বাবধায়ক দরকার। প্রধানমন্ত্রী একসময় বলেছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে চিরদিনের জন্য থাকতে হবে। কিন্তু তাদের মুখে আজ অন্য কথা। কেননা তাদেরকে ক্ষমতায় জোর করে থাকতে হবে।

বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার মক্তিসহ ১০ দফা দাবিতে শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাজশাহী মহানগরীর সোনাদিঘির মোড়ে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন, বিএনপি চেয়্যারপার্সনের উপদেষ্টা মো. মিজানুর রহমান মিনু। সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. মো. এরশাদ আলী ঈশা। সঞ্চালনা করেন, রাজশাহী মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মামুন অর রশিদ এবং জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বাবু বিশ্বনাথ সরকার।

মির্জা আব্বাস বলেন, ঢাকায় ১০ তারিখের সমাবেশের আগে আমাকে ও মির্জা ফখরুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছিলো। কেনো গ্রেফতার করেছিলো জানি না। তারা দেশে গ্রেফতার হত্যা খুন গুম করছে শুধু ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য। ১৫টি বছর এই দানবীয় সরকার ক্ষমতায় ছিলো। যারা ১৫ বছর আগে ভোটার হয়েছিলো তারা এখনো কোনো ভোট দিতে পারিনি। আমি নিজেও ভোট দেয়া ভুলে গেছি।

গত ২৯ জানুয়ারি রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের জনসভায় এক নেতার ভাষণের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, রাজশাহীতে এসে তাদের এক নেতা বলে গেছেন, রাজশাহী বিএনপির ঘাঁটি ছিলো কিন্তু এখন রাজশাহী আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হয়ে গেছে। আমি বলতে চাই রাজশাহী কবে বিএনপির ঘাটি ছিলো, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দেন সারাদেশে বিএনপির ঘাঁটি হয়ে যাবে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকার বলেছিলো ১০ টাকার চাউল খাওয়াবো কিন্তু এখন ৮০ টাকার চাউল খাচ্ছেন। বলেছিলো ঘরে ঘরে চাকরি দেবে। কিন্তু আওয়ামী বাকশালীরা ছাড়া চাকরি কেউ পাননি। এখন বলে চাকরি না করে স্বাবলম্বী হন। কিন্তু ব্যবসা, বাণিজ্য, ঠিকাদারি সব তাদের দখলে। খালেদা জিয়ার আমলে ডলার ছিলো ৪০-৬৫ টাকা, এখন তা ১২০ টাকা। ডলার সংকটের কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের এলসিও বন্ধ। তিনদিন আগেও চট্টগ্রাম বন্দরে তিনটি কন্টেইনার ভর্তি জাহাজ আটকে ছিল। আসলে আওয়ামী লীগের কোনো নেতা নাই, আছে লুটেরা।

জি/আর