প্রধানমন্ত্রীর উপহারের বাড়িতে ঈদ করলেন বাঘার ৬৮ পরিবার


আমানুল হক আমান, বাঘা প্রতিনিধি :

রাজশাহীর বাঘায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের বাড়িতে ঈদ করলেন ৬৮টি গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবার। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে ঈদের আগে উপহার হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় তৃতীয় পর্যায়ে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের এই ঘর দেওয়া হয়। এই ঘরে তারা ঈদ উদযাপন করেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থ বছরে প্রতিটি ঘরের জন্য দুই লাখ ৪০ হাজার টাকা ব্যয়ে গড়গড়ি ইউনিয়নের খানপুর নিচপলাশি, হাবাসপুর ও হেলালপুর আশ্রয়ন প্রকল্পের নতুন ঘর নির্মান করা হয়। এ ঘর গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারকে দেওয়া হয়। দুই শতাংশ জমির উপর দুই কক্ষ বিশিষ্ঠ বারান্দা, টয়লেট, রান্না ঘর তৈরি করা হয়। এর আগে উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে ১৬টি ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ৩৫টি এবং তৃতীয় পর্যায়ে ২৬ এপ্রিল ৭৫টি ঘরের মধ্যে ৬৮টি পরিবারকে ঘরের চাবি, দলিলের সঙ্গে কিছু খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হয়েছিল।

এ বিষয়ে খানপুর গ্রামের আওয়ারী বেওয়া বলেন, আমার স্বামী ২০ বছর আগে মারা গেছে। এক সন্তান নিয়ে ভাইয়ের বাড়িয়ে আশ্রয় নিয়েছিলাম। ভাইয়ের অবস্থা ভাল না। খুব কষ্টে বসবাস করতাম। একটি ছেলে আছে। ছেলে অন্যত্রে বিয়ে করে চলে গেছে। আমি নিরুপায় হয়ে পড়েছিলাম। আমাদের রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনের সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর ঘর পেয়ে মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়েছি। সেই ঘরে মনের আনন্দে ঈদ করলাম।

আশরাফপুর গ্রামের খাজের মন্ডল বলেন, আমার যে জমি ছিল কয়েক বছর আগে পদ্মা নদীতে ভেঙে গেছে। তার পর থেকে ছন্নছাড়া হয়ে এখানে সেখানে বসবাস করতাম। খানপুর নিচপলাশি গ্রামে আশ্রয়ন প্রকল্পের একটি ঘর পেয়েছি। সেই ঘরে ঈদ করে মনের দিক থেকে খুব আনন্দ পেয়েছি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর জন্য হাজার হাজার শুকরিয়া।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পাপিয়া সুলতানা বলেন, ঈদের আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সে উদ্বোধনের মাধ্যমে তৃতীয় ধাপে ৭৫টি ঘরের মধ্যে ৬৮টি উপকারভোগী পরিবারের মধ্যে ২৬ এপ্রিল জমির মালিকানা দলিল ও চাবি বুঝিয়ে দেওয়া হয়। সেই ঘরেই তারা মনের আনান্দে ঈদ করলেন। তবে যাদের আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর দেওয়া হয়েছে তারা অধিকাংশই পদ্মার ভাঙ্গনে সহায় সম্বলহারা খুব দরীদ্র মানুষ।

এস/আই