লালপুর প্রতিনিধি:
পৃথবীর বিভিন্ন দেশের ১৮৫ জন প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অধিকারের মাধ্যমে জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ-এ নিয়োগ পেলেন নাটোরের লালপুর উপজেলার ড. এএসএম শাহাব উদ্দিন সবুজ (৩৩)। সে উপজেলার ধুপইল গ্রামের শাহজাদ মিয়ার ছেলে।

জাতিসংঘের সদর দপ্তরে কোন বাংলাদেশী হিসাবে তিনিই প্রথম পি-ফোর শ্রেণির কর্মকর্তা হিসাবে আগামি ১ মার্চ যোগদান করবেন। তিনি ২৭ ফেব্রুয়ারি কর্মস্থলে যোগদানের উদ্দেশ্যে দেশ ত্যাগ করবেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ড. এএসএম শাহাব উদ্দিন সবুজ ১৯৮৪ সালের ৬ সেপ্টেম্বর উপজেলার ধুপইল গ্রামে পিতা শাহজাদ মিয়া ও মা নূরজাহান বেগমের ঘরে জন্মগ্রহন করেন।

তিনি ২০০০ সালে কাদিরাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল থেকে এসএসসি ও বাংলাদেশ রাইফেলস্ স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ২০০২সালে কৃতিত্বের সঙ্গে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরবর্তীতে ২০০৮ সালে তিনি ইউনিভার্সিটি অফ ডেভোলেপমেন্ট অলটারনেটিভ (ইউডা) থেকে মলিউকুলার মেডিসিনে এবং ২০০৯ সালে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একই বিষয়ে উত্তীর্ণ হন।
২০১১ সালে পদক্ষেপ নামের একটি এনজিওতে একবছরের জন্য চাকুরী করেন এবং ২০১২ তে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে সিনিয়র রিসার্চ এ্যাসোসিয়েট হিসেবে চাকুরী শুরু করেন। এরপর সেপ্টেম্বর ২০১২ তে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন কর্তৃক প্রদত্ত এরাসমুস মুনডাস পিএইচডি স্কলারশীপ প্রোগ্রামের জন্য তিনি নির্বাচিত হন। এরপর তিনি পাড়ি জমান ইউরোপে।

২০১৭ সালে ২৫৬ জন পিএইচডি স্টুডেন্টদের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেন এবং ইউনিভার্সিটি অফ বার্সেলোনা, স্পেন ও ভি ইউ ইউনিভার্সিটি অফ নেদারল্যান্ড থেকে যৌথভাবে ইন্সটিটিউট অফ ট্রপিকাল মেডিসিন থেকে পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেন। এরই মাঝে এক বছর বেলজিয়ামের ব্রসেলস ইউনিভার্সিটিতে পাবলিক হেলথ রিসার্চার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

পিএইচডি চলাকালীন সময় যুক্তরাষ্ট ভিত্তিক আন্তজার্তিক জার্নাল প্লস-ওয়ান এবং ইউরোপ ভিত্তিক ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে তাঁর দুটি করে গপ্রেকাশ পায়। যা এখন পৃথিবীর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হচ্ছে।

সর্বশেষ তিনি প্রথম কোন বাংলাদেশী হিসাবে পি-ফোর শ্রেণির কর্মকর্তা হিসাবে জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ-এ নিয়োগ পান। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি এক সন্তানের জনক। তিনি জানান, একজন সফল মানুষ হতে হলে শুধু মেধাবী নয় বরং সৎ ও বিনয়ী হওয়াটা অত্যান্ত জরুরী। তিনি তরুন সমাজকে মাদকের দিকে না ঝুকে দেশকে ভালোবেসে ভালো কাজে সময় ব্যায় করার পরামর্শ দিয়েছেন।

স/অ