রবিবার , ১৩ অক্টোবর ২০২৪ | ২৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

প্রতিমা বিসর্জনে প্রশাসনের সঙ্গে আ. লীগ নেতা, সমালোচনার ঝড়

Paris
অক্টোবর ১৩, ২০২৪ ৯:২৮ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় দুর্গাপূজার প্রতিমা বিসর্জনের সময় উপজেলা প্রশাসনের পর্যবেক্ষণের স্থানে কর্মকর্তাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতা উপস্থিত থাকায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

রবিবার (১৩ অক্টোবর) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) পাশে আওয়ামী লীগ নেতা বাকী বিল্লাহকে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়। এ ঘটনায় বিএনপির কর্মী-সমর্থকরা ফেসবুকে উপজেলা প্রশাসনের দ্রুত সংস্কার চেয়ে বিভিন্ন পোস্ট দেন।

বাকী বিল্লাহ ভাঙ্গুড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।

এছাড়া তিনি ভাঙ্গুড়া পৌরসভার মেয়র এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের গত ১৬ বছরে বাকী বিল্লাহ এসব দায়িত্ব পালন করেন।
জানা যায়, বাকী বিল্লাহ ২০০৯ সালে প্রথম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হন। এরপরে ২০১৪ সালে বিএনপির প্রার্থী নূর মুজাহিদ স্বপনের কাছে চেয়ারম্যান পদে পরাজিত হন।

২০১৮ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আবারো উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হন বাকী বিল্লাহ। এর আগে তিনি পৌরসভার মেয়র ও ২০১৪ সাল পর্যন্ত উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। চলতি বছর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হন বাকী বিল্লাহ। তবে এমপি পুত্র গোলাম হাসনাইন রাসেল প্রার্থী হওয়ায় পরাজয়ের শঙ্কায় শেষ পর্যায়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান বাকী বিল্লাহ।

এদিকে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরে ভাঙ্গুড়ার অধিকাংশ আওয়ামী লীগের নেতা আত্মগোপনে চলে যান। এখনো অনেক নেতা ভাঙ্গুড়ায় ফেরেননি। তবে আওয়ামী লীগ নেতা বাকি বিল্লাহ ৫ আগস্টের পরেও ভাঙ্গুড়াতে অবস্থান করছেন। ৫ আগস্টের পরে সারাদেশে আওয়ামী লীগ নেতারা পালালেও বাকি বিল্লাহ ভাঙ্গুড়ায় অবস্থান করায় চরম হতবাক অন্যান্য দলের নেতাকর্মীরা।

উপজেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক আখিরুজ্জামান মাসুম বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের সকল নেতাকর্মীকে দেশের জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে।

সরকারি, রাজনৈতিক কিংবা সামাজিক কোনো অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের নেতার উপস্থিতি মানুষ মানবে না। তাই প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠান পর্যবেক্ষণে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের পাশে আওয়ামীলীগ নেতার উপস্থিতির বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুন নাহার বলেন, এটা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজিত অনুষ্ঠান নয়। প্রতিমা বিসর্জনের সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিশ্চিত করতে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা একটি উন্মুক্ত স্থানে বসে পর্যবেক্ষণ করছিলেন। এ সময় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বাকী বিল্লাহ এসে পাশে বসে পড়েন। উন্মুক্ত স্থান হওয়ায় তাকে তুলে দেওয়া যায়নি।

 

সূত্র: কালের কণ্ঠ

সর্বশেষ - জাতীয়