প্রতিবেশীর ‘জ্বালাতনে’ সন্তানসহ ১৩ তলা থেকে ঝাঁপ নারী সাংবাদিকের

করোনাভাইরাসে স্বামীর মৃত্যুর এক মাসের মধ্যেই এক নারী সাংবাদিক তার সন্তানসহ আত্মহত্যা করেছেন।

গত সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মহারাষ্ট্রের চান্দিভালি এলাকায়।

তবে আত্মহত্যার আগে এক প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে হেনস্তার অভিযোগ তুলে গেছেন তিনি।

আনন্দবাজার জানিয়েছে, গত মে মাসে ওই নারী সাংবাদিকের স্বামী কোভিডে মারা যান। এক মাসের মধ্যেই সাত বছরের ছেলেকে নিয়ে ১৩ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন মুম্বাইয়ের এ সাংবাদিক।

মৃত সাংবাদিকের নাম রেশমা ট্রেঞ্চিল। ‘দ্য স্টেটসম্যান’-এ কাজ করতেন তিনি। পরে প্রিন্ট মিডিয়া নিয়ে পড়াশোনা করেছিলেন।

স্বামী শরতের মৃত্যুর পর থেকেই চান্দিভালির ফ্ল্যাটে ছেলে গড়ুরকে নিয়ে থাকতেন রেশমা।

অভিযোগ, করোনাভাইরাসে স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে ক্রমশ মানসিক চাপ আসছিল এক প্রতিবেশীর কাছ থেকে। আত্মহত্যার আগে একটি সুইসাইড নোট লিখে গেছেন রেশমা। তাতে ওই প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন তিনি।

সোমবার গভীর রাতে আবাসনের নিরাপত্তারক্ষী রেশমা ও তার ছেলেকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে পুলিশ দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

এ ঘটনায় পুলিশ ওই প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, মা-বাবার করোনা ধরা পড়ায় রেশমার স্বামী বারানসিতে তাদের দেখাশোনা করতে গিয়েছিলেন। তিনিও কোভিডে আক্রান্ত হন। পরে মৃত্যু হয় তার।

চান্দিভালির আবাসনেই ছেলেকে নিয়ে দিন কাটাচ্ছিলেন রেশমা। স্বামীর মৃত্যুর পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছিলেন।
এক প্রতিবেশীর অভিযোগ ছিল— রেশমার ছেলে বাসায় খুব চিৎকার করত। তা নিয়ে পুলিশে অভিযোগও জানান তিনি। দুই পরিবারকে থানায় ডেকে বিষয়টি মিটমাটও করা হয়।

আত্মহত্যার আগে রেশমা সুইসাইড নোটে ওই প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে হেনস্তার অভিযোগ তোলেন। তার পরই ছেলেকে নিয়ে ভবন থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।

 

সূত্রঃ যুগান্তর