শনিবার , ২৯ জুন ২০২৪ | ১৫ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

পোরশায় অবৈধভাবে চলছে হাসিব ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ

Paris
জুন ২৯, ২০২৪ ৫:৪৪ অপরাহ্ণ

পোরশা প্রতিনিধি:
নওগাঁর পোরশা অবৈধভাবে চলছে হাসিব ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টার। মালিক হাসিবুর রহমানের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ। ২০২১ সালে মেয়াদ শেষ হওয়া ডায়াগনস্টিক সেন্টারটিতে অবৈধভাবে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পাশাপাশি ঔষুধের ব্যবসা ও চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
ড্রাগ লাইসেন্স ও চিকিৎসা সেবা দেওয়ার কোন অনুুমতি না থাকার পরেও সে গোপনে ব্যবসা গুলি চালিয়ে যাচ্ছে। এলাকার নিরিহ লোকজনকে ডাক্তার নয় এমন ডিপ্লোমাধারী একজন ব্যক্তিকে দিয়ে চক্ষু চিকিৎসা এবং মেডিসিন বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত একজন ব্যক্তিকে দিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে অনেকে অভিযোগ করছেন।
এছাড়াও প্রতি শুক্রবার উপজেলার বাইরে থেকে ডাক্তার নিয়ে এসে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা দিয়ে নিজের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা-নিরিক্ষা ও নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ঔষুধ কিনতে বাধ্য করারও অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিভিন্ন রোগীর আত্মীয় স্বজনরা জানান, দু,একজন ডাক্তার প্রতি শুক্রবার চিকিৎসা সেবা দিলেও হাসিবের কথা মত মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরিক্ষা করতে হয় এবং তার কাছেই ঔষুধ ক্রয় করতে হয় বলে অভিযোগ করেন। অথচ পাশেই পোরশা বাজারে তিনজন এমবিবিএস ডাক্তার চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন।
তাদের কাছে চিকিৎসা করলে তারা প্রয়োজনমত চিকিৎসা ব্যবস্থা দিয়ে থাকেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে হাসিব ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক হাসিবুর রহমান কোন রকম হালনাগাদ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। এবং তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গুলির সদোত্তর দিতে পারেননি। জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌফিক রেজা জানান, বিষয়টি তিনি জেনেছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশ মোতাবেক ৩০জুন/২৪ এর মধ্যে লাইসেন্স নবায়ন করতে হবে। তা না করলে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে এব্যাপারে সিভিল সার্জন দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারেন বলে তিনি জানান।
অপরদিকে, নওগাঁ জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. নজরুল ইসলাম জানান, লাইসেন্স ছাড়া কোনভাবেই ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালাতে পারবে না।
এছাড়াও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বা হাসপাতালের ভিতরে কেউ ঔষুধের ব্যবসাও করতে পারবেনা। তবে এবিষয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের যে কোন কর্মকর্তা দু’একদিনের মধ্যে ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি পরিদর্শন করে অনিয়মগুলো দেখবেন এবং ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর