পেনশন শিবির অবসরপ্রাপ্ত ভারতীয় গোর্খা সেনাদের জীবনকে সহজ করেছে

বিদুর বাহাদুর থাপা একজন অবসরপ্রাপ্ত ভারতীয় গোর্খা সৈনিক যিনি এখন কৃষি কাজে জড়িত হয়ে সময় কাটাচ্ছেন। সাত বছরের আগে তার জন্য দৃশ্যপট আলাদা ছিল, পেনশন নিতে প্রতি তিন মাস পরপর তাকে গোরক্ষপুরে যেতে হতো। তবে এখন সেই সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে।

বাহাদুর থাপা বলছিলেন, ‘তানসেনে পেনশন শিবির স্থাপন আমাদের জীবনকে সহজ করে তুলেছে। এখন আমি আমার ব্যবসা শুরু করতে এবং খুব ভাল যত্ন নিতে সক্ষম হচ্ছি। আগে আমার গাছগুলো কম মনোযোগ পেত। গত ৭ বছর ধরে আমি সেগুলোর পরিচর্যায় পুরোপুরি মনোনিবেশ করতে পারিনি।’

তিনি আরো বলেন, ‘নেপালে ফেরার সময় আমরা অনেক সমস্যার মুখোমুখি হয়েছি। পেনশন পাওয়ার জন্য আমাদের গোরক্ষপুরের কুরাহাঘাটে যেতে হতো। প্রতি তিন মাস পরপর পেনশনের জন্য আমাদের পিছনে ভ্রমণ করতে হতো যেটা ব্যয়বহুল ছিল। পেনশন শিবির চালু হওয়ায় এখন  ব্যয়বহুল ভ্রমণ ও গোরক্ষপুর যাওয়া-আসার সময়ও আমরা বাঁচাতে পারছি।’

কেবল থাপা নয়, পাল্পার অন্যান্য অবসরপ্রাপ্ত ভারতীয় গোর্খা সৈনিক পেনশন শিবির থেকে উপকৃত হচ্ছেন। তারা এখন নিজ জেলায় থেকে স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার মাধ্যমে তাদের লেনদেন পরিচালনা করতে পারছেন।

আরেকজন অবসরপ্রাপ্ত ভারতীয় গোর্খা সৈনিক বলেন, আমাদের নিজস্ব অঞ্চল থেকে পেনশন পাওয়ায় এখন আমরা অনেক সুরক্ষিত বোধ করছি। বৃদ্ধ হওয়ার কারণে আমাদের অনেকেরই মাঝে মাঝে গোরক্ষপুর ভ্রমণ করা সম্ভব হতো না। এবং সেখান থেকে যে অর্থকড়ি নিয়ে আসি সেটাতেও আমরা নিরাপদ বোধ করতাম না। এখন সবকিছু অনেক সহজ হয়ে গেল।’

নেপালের পার্বত্য জেলা পল্পায় প্রায় এক হাজার অবসরপ্রাপ্ত ভারতীয় গোর্খা সৈনিকের বাড়ি। এখন তাঁরা জেলা প্রশাসনের তানসেনের পেনশন শিবির থেকে পেনশন তুলতে পারছেন।

পশ্চিমা পাল্পার সাবেক এসব গোর্খা সৈন্যরা ৩৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে নিযুক্ত ছিলেন। অবসরের পরে ভারতের পক্ষ থেকে প্রাপ্ত পেনশন নিয়ে তাঁরা তাদের প্রতিদিনের প্রয়োজন ও জীবন নির্বাহ করেন।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ