পুঠিয়ায় পর্ণগ্রাফি আইনে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা, হুমকীতে বাদীর পরিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক:

পুঠিয়া যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারি সুমনুজ্জামান সুমনের বিরুদ্ধে পর্নগ্রাফি নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা দায়েরের পরে হুমকির মুখে গৃহহারা এক নারী। তিনদিন ঘোরার পরে গত ২৯ সেপ্টেম্বর এই মামলা রেকর্ড করা হয়। সংখ্যালঘু পরিবারের ্ওই নারী মামলা করার পর থেকে হুমকির মুখে রয়েছেন। এ বিষয়ে রাজশাহীতে কর্মরত মানবাধিকার সংগঠনগুলো উদ্বেগ জানিয়েছে।

শনিবার সকাল থেকে দফায় দফায় ফোন করে মামলা তুলে নিতে চাপ দেয় আসামী সুমনের বাবা বদিউজ্জামান । তিনি বেলপুকুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান । ওই নারী জানান, তার স্বামী মাদকাসক্ত। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে তার বাবার বাড়ি পুঠিয়ায় চলে আসেন। তিনি মাস্টার রোলে পুঠিয়া পৌরসভায় কাজ করেন। দুই বছর আগে সুমনের সাথে তার সম্পর্ক হয়। তাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কয়েক দফায় সাত লাখ টাকা নেয়। আরো টাকার জন্য চাপ দেয়। এসময় টাকা না দিলে তার সাথে শারিরিক সম্পর্কের ভিডিও ও স্থির চিত্র ছড়িয়ে দেয়া হবে বলে হুমকি দেয়। এ প্রেক্ষাপটে গত ২৯ সেপ্টেম্বর পুঠিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।

এ বিষয়ে রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন বলেন, তিনি এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পুঠিয়া থানার অফিসার ইনচার্জকে বলেছেন।

পুঠিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ সহরোয়ারর্দী হোসেন বলেন, মামলা রেকর্ডের পরে আসামী গ্রেফতারের জন্য তৎপরতা চলছে। অচিরেই আসমী ধরা পড়বে বলে জানান তিনি। যারা হুমকি দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।

রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা বলেন, তিনি বিষয়টি শুনেছেন। প্রশাসন এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিবে বলে তিনি আশাবাদী।

জেলা যুবলীগ সভাপতি আবু সালেহ বলেন, অপরাধীর বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নিবে এটা তার প্রত্যাশা।

এ দিকে রাজশাহীতে কর্মরত মানবাধিার সংগঠন গুলো এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে। মহিলা পরিষদ জেলা সভাপতি কল্পনা রায়, জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির বিভাগীয় প্রধান অ্যাডভোকেট দিল সেতারা চুনি এবং পরিবর্তনের পরিচালক রাশেদ রিপন এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, মামলার আসামী সুমনকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। প্রশাসনকে বাদির পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। আসামী গ্রেফতার না হলে মানবাধিকার সংগঠন গুলো মাঠের কর্মসূচি গ্রহণ করবে।