পুঠিয়ায় ধর্ষণের শিকার প্রতিবন্ধী কিশোরী মা হলেও, বাবা হয়নি কেও

 পুঠিয়া  প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর পুঠিয়ায় ধর্ষণের শিকার শারীরিক প্রতিবন্ধী এক কিশোরী মা হয়েছেন। গত ১২ জুলাই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি একটি কন্যা সন্তান প্রসব করেন। তবে সদ্য ভূমিষ্ঠ এ সন্তানের বাবা কে? তা নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে নবজাতকের বাবার পরিচয় জানতে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভালুকগাছি ইউনিয়নের  শারীরিক প্রতিবন্ধী মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সঙ্গে অবৈধভাবে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন একই ইউনিয়নের নন্দনপুর গ্রামের আবু কালামের ছেলে সোহেল রানা (৩০)। এতে ওই প্রতিবন্ধী কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হলে স্থানীয়ভাবে সালিশ বৈঠক করে তাদের বিয়ের ব্যবস্থা করা হয়।

ভালুকগাছি ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড সদস্য মিলন হোসেন জানান, অভিযুক্ত যুবকের পরিবার বিয়েতে রাজি না হওয়ায় প্রতিবন্ধী কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে পুঠিয়া থানায় সোহেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। সে মামলায় সোহেল রানাকে পুলিশ গ্রেফতার করে।

তিনি আরো জানান, সোহেল রানাকে গ্রেফতারের কয়েক মাস পর গত ১২ জুলাই ওই অন্তঃসত্ত্বা কিশোরী রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়।তবে ভূমিষ্ঠ সন্তানের বাবার পরিচয় কি তা নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে ।

এ ব্যপারে পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম জানান, ‘প্রতিবন্ধী কিশোরীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে সোহেল রানাকে আগেই পুলিশ গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরন করেছে। তবে সে ধর্ষণের বিষয়টি অস্বীকার করেছে। এখন নবজাতকের বাবার পরিচয় জানতে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট এলে তার বাবার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যাবে।