রবিবার , ২০ জানুয়ারি ২০১৯ | ১৪ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

পুঠিয়ায় দড়পত্র ছাড়াই সরকারী কলেজের গাছ কেটে বিক্রি

Paris
জানুয়ারি ২০, ২০১৯ ১০:০৭ অপরাহ্ণ

পুঠিয়া প্রতিনিধিঃ

রাজশাহীর পুঠিয়ায় দরপত্র ছাড়াই অর্ধেক দামে বানেশ্বর সরকারী কলেজের ৫ টি গাছ বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। তবে একটি গাছ কাটায় লোক জানাজানি হলে ৪ টি গাছের টাকা ব্যবসায়ীর কাছে ফেরত দেয়া হয়েছে ফলে বাকী ৪ টি গাছ এখনও কাটা হয়নি। গাছ বিক্রিতে অনিয়মের ব্যপারে স্থানীয়দের সঙ্গে কলেজ অধ্যক্ষের বাকবিতণ্ডেরও সৃষ্টি হয়েছে।

এনিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে চরম উত্তেজনা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে তবে কলেজ অধ্যক্ষের দাবী গাছ বিক্রিতে কোন অনিয়ম হয়নি। আজ রোববার সকালে বানেশ্বর সরকারী কলেজে এ বাকবিতণ্ডের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বানেশ্বর সরকারী কলেজ কর্তৃপক্ষ অনিয়ম করে দড়পত্র ছাড়াই গোপনে অর্ধেক দামে ৫ টি গাছ বিক্রি করেছেন। কতদামে গাছগুলো বিক্রি করা হয়েছে এব্যপারে স্থানীয় বাসিন্দা আবু তালেব কলেজ অধ্যক্ষ একরামুল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন “এব্যপারে আমি তোমার কাছে জবাব দিতে বাদ্ধ নই”। পরে দু’জনের মধ্যে এ নিয়ে বাকবিতণ্ডের সৃষ্টি হয় এক পর্যায়ে দু’জনই উত্তেজিত হয়ে ওঠেন।

সুত্র মতে, গত ১৭ জানুয়ারী বানেশ্বর কলেজ কর্তৃপক্ষের থেকে ১ টি বড় ইউক্লিপ গাছ ও ৪ টি দেবদারুর গাছ দরদাম করে ৩২ হাজার টাকায় ক্রয় করেন স্থানীয় কাঠের ব্যবসায়ী শাহাবুল ইসলাম। পরে তিনি ১৮ ও ১৯ শে জানুয়ারী গত দুই দিনে ইউক্লিপের গাছটি কেটে নিয়ে যান। তবে বাকী ৪ টি দেবদারুর গাছের টাকা কলেজ কর্তৃপক্ষ ফেরত দেয়ায় তিনি সেগুলো কাটেনি।

ব্যবসায়ী শাহাবুল ইসলাম বলেন, আমি কলেজের কয়েকজন শিক্ষকের উপস্থিতিতে একটি ইউক্লিপ গাছ ২৮ হাজার টাকায় এবং ৪ টি দেবদারুর গাছ ৪ হাজার টাকায় ক্রয় করেছি। তবে গাছ কাটার সময় আমার কাছে ৪ টি দেবদারুর গাছের ৪ হাজার টাকা ফেরত দেয়া হলে শুধু ইউক্লিপ গাছটি কেটে নিয়ে এসেছি। তবে এব্যপারে কোন দড়পত্র আহবান করা হয়নি এমনকি তিনি দড়পত্র ছাড়াই গাছ গুলো ক্রয় করেছেন বলেও জানান কাঠের এই ব্যবসায়ী।

স্থানীয় ব্যবসায়ী বাবলু জানান, বানেশ্বর সরকারী কলেজের উত্তর-পূর্ব কর্ণারে অবস্থিত বিশাল ইউক্লিপ গাছটি অনেক মোটা ছিলো। গাছটির অন্তত ৫৫/৬০ হাজার টাকা দাম হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু মাত্র ২৮ হাজার টাকায় গাছটি বিক্রি করার কথা শুনে তিনি নিজেও অবাক হন।

কলেজ অধ্যক্ষ একরামুল হকের সঙ্গে বাকবিতণ্ডের ব্যপারে আবু তালেব বলেন, সকালে গাছটি কতটাকায় বিক্রি করা হয়েছে এবিষয়ে কলেজ অধ্যক্ষ একরামুল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি উত্তেজিত হয়ে বলেন, এ ব্যপারে আমি তোমার কাছে জবাব দিতে বাদ্ধ নই। পরে দু’জনের মধ্যে বাকবিতণ্ড হয়েছে বলেও জানান তিনি।

তবে গাছ বিক্রিতে অনিয়ম হয়নি এবং ৫ টি নয় একটি গাছ বিক্রি করা হয়েছে দাবী করে বানেশ্বর সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ একরামুল হক বলেন, গাছটি পরিবেশ বান্ধব না হওয়ায় এবং পরিবেশের ক্ষতি করায় কলেজের শিক্ষকদের উপস্থিতিতে দড়দাম করেই বিক্রি করা হয়েছে। গত ৪ বছর আগেই গাছটি বিক্রির ব্যপারে আলোচনা করে রেজুলেশনও করা হয়েছিলো। গাছ বিক্রির টাকা সরাসরি ব্যাংকে রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এব্যপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জানান, আমি রাতে এ ধরনের ঘটনার কথা শুনেছি। দড়পত্র আহবান না করেই সরকারী প্রতিষ্ঠানের গাছ বিক্রির ব্যপারে তিনি বলেন, কলেজটি সরকারী ঘোষনা হলেও এখন পর্যন্ত পুরোপুরি রেভিনিউ খাতে যায়নি তারপরও এটুকু বলতে পারি যেহেতু এটি সরকারী ঘোষনা করা হয়েছে তাই যেকোন আর্থিক বিধিবিধান মেনেই কলেজের সমস্ত পক্রিয়া সম্পূর্ণ করা উচিত।

স/অ

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর