পুঠিয়ায় ত্রাণ বিতরণ নিয়ে স্ত্রীর সামনে পেটানো হলো স্বামীকে

পুঠিয়া প্রতিনিধিঃ

রাজশাহীর পুঠিয়ায় সরকারী ত্রাণ বিতরণ নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে স্ত্রীর সামনে স্বামীকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে। এতে ভুক্তভোগী স্বামী শাহীন আলম আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

আহত শাহীন আলম (২৬) উপজেলা সদর ইউনিয়নের কান্দ্রা গুচ্ছগ্রাম এলাকার বাসিন্দা কাসেম মীরের ছেলে। তিনি একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।

গত (২৫ মে) ঈদের দিন সন্ধ্যায় দুদুরমোড় নামক বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে তাকে মারধর করা হয়। পরে খবর পেয়ে পুঠিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।

এ ব্যপারে তার বাবা বাদী হয়ে (২৬ মে) আজ মঙ্গলবার বিকেলে এক ইউপি সদস্যসহ কয়েকজনকে দায়ী করে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

তবে মারধর করার অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি সদস্য বদিউজ্জামান দাবী করেন, তিনি কোন অনিয়ম করেননি।

অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, ইউনিয়নের সরকারী ত্রাণ বিতরনের জের ধরে গত ১৮ মে শাহীনকে মারধর করা হয়। এরই জের ধরে ঈদের দিন সন্ধ্যায় তার ওপর ফের হামলা চালানো হয়। তাৎক্ষণিকভাবে থানা পুলিশকে খবর দেয়া হলে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালে নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার ওসিও।

আহত শাহীন জানান, ইউপি সদস্য বদিউজ্জামানের ত্রাণ বিতরনসহ নানা কাজের অনিয়মের প্রতিবাদ করায় গত ১৮ মে একবার তাকে লাঞ্ছিত করা হয় পরে ঈদের দিন মেম্বার ও তার লোকজন স্ত্রীর সামনে তাকে ফের মারধর করেছে। তার শরীরের কয়েকটি স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে পুঠিয়া সদর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড সদস্য বদিউজ্জামান মুঠোফোনে জানান, তারা শাহীনকে মারধর করেননি এমনকি ত্রাণ বিতরণেও তিনি কোন অনিয়ম করেননি। তারা নিজেরাই ঝামেলায় জড়িয়ে এখন তাকে দোষারোপ করছে।

এ ব্যপারে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম জানান, শাহীনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিলো। তিনি সেখানেই আছেন এ ব্যপারে কথা বলতে শাহীনের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ ব্যপারে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

স/অ