বুধবার , ২১ আগস্ট ২০১৯ | ১৪ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

পুঠিয়ায় অভাবের তাড়নায় বাড়ি ছাড়ার চার মাস পর মা-ছেলে উদ্ধার

Paris
আগস্ট ২১, ২০১৯ ৫:০৪ অপরাহ্ণ

পুঠিয়া প্রতিনিধি: রাজশাহীর পুঠিয়ায় অভাবের তাড়নায় স্বামী সংসার ফেলে শিশু ছেলেকে নিয়ে ৪ মাস আগে বাড়ি ছেড়েছিলেন এক মা। চিকিৎসা করানোর নাম করে বাড়ি থেকে বের হয়ে তারা আর ফিরে আসেনি। নিখোঁজের চার মাস পর গতকাল মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) রাতে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় ভাইয়ের বাড়ি থেকে তাদের উদ্ধার করে পুলিশ।

উদ্ধার হওয়া মা-ছেলে হলেন, পারুল রানী হলদার (২৯) এবং দীপ কুমার হলদার (৬)। তারা উপজেলার পৌর এলাকার কাঁঠালবাড়ীয়া (হলদার পাড়া) মহল্লার সঞ্জিত চন্দ্র হলদারের স্ত্রী-সন্তান।

উদ্ধারের পর থানা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেছেন, সংসারের অভাব-অনটনের কারণে স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় ছেলেকে নিয়ে তিনি বাড়ি ছেড়েছিলেন।

এর আগে চলতি বছরের ৮ মে সকালে পারুল রানী হলদার তার একমাত্র ছেলে সন্তান দিপ কুমার হলদারকে সঙ্গে নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি ছাড়েন। তারপর থেকে আর ফিরে আসেনি। পরে তাদের নিকট আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে খোঁজাখুঁজি করেও না পেয়ে তার ভাই বিপ্লব, বোন ও ভাগনের সন্ধান চেয়ে পুঠিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ওই মা ছেলের সন্ধানে মাঠে নামেন। গত (২০ আগষ্ট) মঙ্গলবার দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় তার ভাইয়ের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।

অভিযানে নেতৃত্বদানকারী পুলিশ কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাইনুল ইসলাম জানান, মা-ছেলেকে উদ্ধারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি (ওই নারী) জানিয়েছেন, পুঠিয়া থেকে তিনি সরাসরি ঢাকায় গিয়ে একটি বস্তিতে ছেলেকে নিয়ে আত্মগোপনে ছিলেন। সেখানে ইটের খোয়া ভাঙ্গা কাজ করা ছাড়াও তিনি বিভিন্ন উপায়ে সংসার চালাতেন। দুই তিনদিনের জন্য পারুল রানী তার ছেলেকে নিয়ে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় ভাইয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। সেখান থেকেই তাদের পুলিশ উদ্ধার করে। পুলিশের কাছে পারুল রানী আরো জানান, স্বামী সঞ্জিত চন্দ্র সামান্য চা বিক্রেতা। শ্বশুড়-শ্বাশুড়ি, ছেলে সন্তানসহ সংসারে মোট ৫ জন সদস্য। একজনের সামান্য উপার্জনে ঠিকমত সংসার চলতো না। এনিয়ে সংসারে ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকতো। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঠিকঠাক বনিবনা না হওয়া, সংসারে অভাব অনটন ছাড়াও পারিবারিক কোন্দলের কারণেই কাউকে না জানিয়ে তারা বাড়ি ছেড়ে আত্মগোপনে ছিলেন।

পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাকিল উদ্দিন আহম্মেদ জানান, উদ্ধারের পর দুই পরিবারের লোকজনকে থানায় ডেকে সামাজিকভাবে বিষয়টি মীমাংশা করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। মীমাংশার পর সেটি থানা পুলিশকে অবহিত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ ব্যপারে তারা থানায় যে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলো সেটি প্রত্যাহার করে নিয়েছে।

 

স/শা

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর