মঙ্গলবার , ১৯ নভেম্বর ২০২৪ | ৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

পুঠিয়ায় নারী নিয়ে ফূর্তি করতে গিয়ে ধরা খাওয়া সার্জেন্টকে প্রত্যাহার

Paris
নভেম্বর ১৯, ২০২৪ ১১:২৯ পূর্বাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহী পুঠিয়ার বানেশ্বরে নারীকে নিয়ে ভাড়া বাসায় ফূর্তি করতে গিয়ে ধরা খাওয়ার অভিযোগে এক সার্জেন্টকে পুলিশ লাইন্সে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। প্রত্যাহার হওয়া ওই সার্জেন্টের নাম আইনুল হক সবুজ। তিনি জেলা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের বানেশ্বর ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন। তবে সার্জেন্ট সবুজকে বাঁচাতে বাণেশ্বর বিএনপির একটি পক্ষ ব্যাপক চেষ্টা চালাচ্ছে। ওই পক্ষের নেতৃত্বে দিচ্ছেন স্থানীয় বিএনপির প্রভাবশালী এক নেতা। তার নেতৃত্বে ওই পক্ষটি সার্জেন্টকে নারীসহ আটককারী এলাকাবাসীকে ফাঁসাতে নানাভাবে চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এদিকে এরই মধ্যে সার্জেন্ট সবুজের নারী ক্যালেঙ্কারীর ঘটনাটি তদন্তে নেমেছে জেলা পুলিশের একটি দল। বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল আলম বলেন, নারী ঘটিত একটি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সার্জেন্ট আইনুল হক সবুজকে পুলিশ লাইন্সে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি।

স্থানীয়রা জানান, গত ৮ নভেম্বর বানেশ্বর ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট আইনুল হক সবুজ একজন নারীকে নিয়ে তিনি তার ভাড়া বাড়িতে যান। বানেশ্বর ট্রাফিক পুলিশ বক্সের পাশের ওই বাড়িতে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই স্থানীয় এলাকাবাসী বিষয়টি টের পান। এর পর তারা আইনুল হক সবুজসহ ওই নারীকে হাতে-নাতে আটক করেন। আটকের পর সার্জেন্ট সবুজ এলাকাবাসীর কাছে দাবি করেন, ওই নারী তার প্রেমিকা। তাঁর স্ত্রীও আছে। সে কারণে তিনি তার প্রেমিকাকে বিয়ে করতে পারবেন না। স্ত্রী থাকার কারণে প্রেমিকাও সবুজকে বিয়ে করতে রাজি হচ্ছিলেন না। এ অবস্থায় ঘন্টা দুয়েক পরে ওই নারীকে ছেড়ে দেওয়া হয়।নিজেকে বাঁচাতে সবুজ কয়েকজন ম্যানেজ করেন ওইদিন। শেষ পর্যন্ত সবুজকে সাতদিনের মধ্যে বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন বাড়ি মালিক।

এলাকাবাসী আরও জানান, সবুজ ওই ঘটনা থেকে বাঁচার কয়েকদিন পরে বাড়ি ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। কিন্তু বানেশ্বরের বিএনপির এক নেতাকে দিয়ে তিনি পরবর্তিতে এলাকাবাসীর ওপর প্রতিশোধ নিতে নানাভাবে চেষ্টা চালাতে থাকেন। ওই নেতা তার লোকজনকে দিয়ে নারীসহ সার্জেন্ট সবুজকে অনরঙ্গ অবস্থায় আটককারী এলাকাবাসীকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। এমনকি মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোরও হুমকি দিচ্ছেন। এনিয়ে স্থানীয় বিএনপির দুটি পক্ষের মধ্যে দুদিন ধরে উত্তেজনাও বিরাজ করছে বলে দাবি করেছে একাধিক সূত্র।

তবে আইনুল হক সবুজ বলেন, আমি এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। আমাকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। আমি পুলিশ লাইন্সে আছি। এর বেশিকিছু জানি না।’

স.আর

 

 

 

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর