পিএসএলকে জায়গা দিতেই পিছিয়েছে ভারতের বিশ্বকাপ!

আইপিএলের কারণেই পিছিয়ে দেয়া হয়েছে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এমনটাই অভিযোগ অনেকের। এমনকি এ নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলেছেন পাকিস্তানের সাবেক স্পিডস্টার শোয়েব আখতারও। তিনি তো এমনও বলেছেন, ‘বিশ্বকাপ গোল্লায় যাক, আইপিএল টিকে থাক।’

এবার ভারতের ক্রিকেট সমর্থকরা জবাব দেয়ার জন্য মোক্ষম এক অস্ত্রের সন্ধান পেয়ে গেলো। অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পিছিয়ে দিয়ে আগামী বছর একই সময়ে নেয়া হয়েছে। যার কারণে পূনরায় সূচি নির্ধারণ করতে হয়েছে পরের দুটি বিশ্বকাপেরও। এর মধ্যে একটি টি-টোয়েন্টি এবং একটি ওয়ানডে বিশ্বকাপ।

পরের দুটি বিশ্বকাপের আয়োজকই ভারত। ২০২৩ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল ফেব্রুয়ারি-মার্চে। কিন্তু সেটাকে পিছিয়ে নেয়া হয়েছে ওই বছরই অক্টোবর-নভেম্বরে।

একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বলছে ভিন্ন কথা। তাদের দাবি, ভারতের চাপে আইসিসি কোনো টুর্নামেন্ট পিছিয়ে দেয়নি। বরং আইসিসি ২০২৩ বিশ্বকাপ কয়েক মাস পিছিয়ে দিয়েছে পাকিস্তানের চাপের মুখেই। কারণ, ২০২৩-এ যে সময় বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা, সে একই সময়ই সাধারণত পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) আয়োজন করে থাকে পিসিবি। পিএসএলের কারণেই নাকি পিছিয়ে দেয়া হয়েছে ভারতের বিশ্বকাপ।

বিশ্বকাপের স্থগিতের বিষয়ে আইসিসির সিদ্ধান্তের পর বিসিসিআই এ বছর আইপিএল আয়োজনের সুযোগ পেয়েছে। ভারতীয় মিডিয়ার দাবি, এ জন্য ভারতীয় বোর্ডকে নাকি কোনো প্রভাব খাটাতে হয়নি। বরং আইসিসি পরিস্থিতির চাপে পড়ে অনিচ্ছা সত্ত্বেও বিশ্বকাপ পিছিয়েছে।

কিন্তু ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ কেন পেছানো হল, সে প্রশ্নের উত্তর খুঁজছিল ভারতীয় মিডিয়া। অবশেষে সেটা পেয়েও গেছে তারা। পাকিস্তানের এক ইংরেজি দৈনিক দ্য নিউজের চাঞ্চল্যকর দাবি, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান এহসান মানির দাবির কারণেই ২০২৩ বিশ্বকাপ পিছিয়েছে আইসিসি।

আগের সূচি অনুযায়ী ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল ওয়ানডে বিশ্বকাপের। কিন্তু ওই সময় পিসিবি পিএসএল আয়োজন করে থাকে। সেজন্যই আইসিসিকে বিশ্বকাপ পিছিয়ে দিতে অনুরোধ করে পিসিবি। যদিও আইসিসির দাবি, মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে দুটি বিশ্বকাপ আয়োজন সম্ভব না। সে কারণেই ২০২৩ বিশ্বকাপ পেছাতে হয়েছে।

দি নিউজ একটি সূত্রের উদ্বৃতি দিয়ে বলেন, ‘আইসিসির নতুন করে বিশ্বকাপের সূচি তৈরি করার কারণে টানা তিন বছরের জন্য ফেব্রুয়ারি-মার্চের উইন্ডোটা খুলে গেলো। পিসিবির জন্য পিএসএল আয়োজনে আর কোনো বাধা থাকলো না।’