সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
সহজে মেধা যাচাই ও অনিয়ম এড়াতে শিক্ষক নিয়োগে মৌখিকের সঙ্গে লিখিত পরীক্ষাও নিতে বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। এছাড়া নিয়োগের আগে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার ভেরিফিকেশন (ব্যক্তিগত তথ্য যাচাই) করা হবে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত গোয়েন্দা প্রতিবেদনের সুপারিশের ভিত্তিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নিয়োগে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দেশে বর্তমানে ৩৮টি পাবলিক বা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এ দু’টি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে ব্যবস্থা নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সচিবের কাছে শিক্ষক-কর্মকর্তা নিয়োগে সংশোধিত নির্দেশনা পাঠিয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়, ইদানিং বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ও কর্মকর্তা নিয়োগের ক্ষেত্রে বিভিন্ন জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে। এ অনভিপ্রেত অবস্থার সমাধানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত গোয়েন্দা বিভাগের গোপনীয় প্রতিবেদনে বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ও কর্মকর্তা নিয়োগ দিতে দুটি সুপারিশ করেছে। সুপারিশ দুটি তুলে ধরে এতে বলা হয়, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান হওয়ায় শিক্ষক ও কর্মকর্তা নিয়োগের আগে কোন পুলিশ ভেরিফিকেশন বা গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে ব্যক্তিগত তথ্যাদি যাচাই করা হয় না। ফলে সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ব্যক্তি বা অপরাধীরা নিয়োগের সুযোগ পায়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক-কর্মকর্তা নিয়োগের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশের আগে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করে নিয়োগ করা যাবে।
শিক্ষক ও কর্মকর্তা নিয়োগে শুধুমাত্র মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয় জানিয়ে নির্দেশনায় বলা হয়, এতে অনিয়মের সুযোগ তৈরি হয়। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগে মৌখিক পরীক্ষার পাশাপাশি লিখিত পরীক্ষা গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হলে প্রার্থীর মেধা যাচাই করা সহজ হবে এবং অনিয়মের সুযোগ কমবে।
সূত্র:কালের কণ্ঠ