পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় দুর্নীতিতে ভরে গেছে : রাঙ্গা

পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত দুর্নীতিতে ভরে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা। আজ সোমবার বিকেলে রংপুরের গঙ্গাচড়ায় তিস্তা নদীর ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

রাঙ্গা বলেন, নদী নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতা রয়েছে। তিনি বুঝেছেন নদী শাসন করতে হবে। তাই  গোটা দেশে নদী শাসনের জন্য সাড়ে আট হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন। কিন্তু পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতির কারণে সেটি করা সম্ভব হচ্ছে না।

তিনি বলেন, প্রতি বছর বন্যা ও নদী ভাঙন হচ্ছে। তারা সঠিক ভাবে নদী খনন করছে না। ফলে নতুন নতুন এলাকা বন্যা ও ভাঙনের শিকার হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতির কারণে রংপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে যে সেতুটি হয়েছে, তার নিচ দিয়ে তিস্তার পানি না গিয়ে বাম দিক দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, প্রতি বছর গজলডোবা থেকে পানি আসছে, বালু-পলি আসছে। এতে করে তিস্তা নদী ভরাট হয়ে যাচ্ছে। নদী ও নদীপারের উচ্চতা ২ থেকে ৩ ফুটের ব্যবধান থাকে। ভারত গজলডোবার দরজা খুলে দেওয়ার সাথে সাথে তিস্তায় ৭ থেকে ৮ ফুট উঁচু পানি চলে আসে। এতে হঠাৎ করেই মানুষের ঘরবাড়ি ডুবে যায়। চরের মানুষ সারা বছর মাথার ঘাম পায়ে ফেলে যে সঞ্চয় করে তা তিস্তা নদীতে বিলীন হয়ে যায়। এবারও তিন দফায় পানি বেড়েছে। গজলডোবা বাঁধ নিয়ে ভারতের সাথে আলোচনা ছাড়া তিস্তা নদীরপারের মানুষকে রক্ষা করা কঠিন হবে।

রাঙ্গা গঙ্গাচড়ার কোলকোন্দ ইউনিয়নের চর চিলাখাল ও বিনবিনার চর এলাকার ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। সেই সাথে চিলাখাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ভাঙন প্রতিরোধে বাঁশের পাইলিংয়ের কাজের অগ্রগতি দেখেন এবং ওই এলাকায় চার শতাধিক মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন তিনি।

এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাসলীমা বেগম, এমপি কন্যা মালিহা তাসনীম জুঁই, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সাজু আহম্মেদ লাল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রাবিয়া বেগম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।