‘পাটকল বন্ধে পরোক্ষভাবে লাভবান হবে ভারতের পাটশিল্প’

রাষ্ট্রায়ত্ত সকল পাটকল বন্ধের সিদ্ধান্তকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী, দায়িত্বহীন ও আত্মঘাতী হিসেবে উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। একই সঙ্গে অনতিবিলম্বে এই হঠকারী সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে সরকারের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। শুক্রবার (৩ জুলাই) এক বিবৃতিতে তিনি এ আহ্বান জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, যে যুক্তিতে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আদমজী পাটকল বন্ধ করে দিয়েছিল এখন আওয়ামী লীগ সরকারও একই যুক্তি হাজির করে এই ব্যাপারে বিএনপি-জামায়াত সরকারকেই অনুসরণ করছে।

সাইফুল হক বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের অব্যবস্থাপনা, চুরি, দুর্নীতি ও অনিয়মের জন্য পুরো রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পই উঠে যেতে পারে না। দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনাকে প্রশ্রয় দিয়ে এবং পাটকলের আধুনিকায়ন না করে আজ যেভাবে লোকসান দেখানো হচ্ছে তার দায়দায়িত্ব সরকার, সরকারি প্রতিষ্ঠান ও তাদের কর্মকর্তাদেরই বহন করতে হবে।

তিনি বলেন, মাথা ব্যথার জন্য মাথা কেটে ফেলা কোনো সমাধান হতে পারে না।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক বলেন, স্থায়ী-অস্থায়ী মিলে প্রায় ৫০ হাজার শ্রমিক এসব কারখানার সঙ্গে যুক্ত। মহামারির একটা ভয়াবহ দুর্যোগে জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ কোনো সরকার অর্ধলাখ শ্রমিককে এভাবে বেকার করে দিতে পারে না। মহামারিকালে শ্রমিকের কর্মসংস্থানের অধিকার কেড়ে নেয়ার অধিকার কারো নেই। এটা সরকারের নিষ্ঠুর ও অমানবিক আচরণের বহিঃপ্রকাশ।

তিনি বলেন, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান, মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী আওয়ামী লীগ সরকারেরই অঙ্গীকার ছিল পর্যায়ক্রমে রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প খাতকে ক্রমান্বয়ে শক্তিশালী করা।

সাইফুল হক উল্লেখ করেন, এখন এসব পাটকল বন্ধ করে দিয়ে এর হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পত্তিকে সরকার মুষ্টিমেয় লুটেরাদের হাতে তুলে দেয়ার আয়োজন করছে। সরকারের এই সিদ্ধান্তে পরোক্ষভাবে লাভবান হবে ভারতের পাটশিল্প।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে পাটজাত পণ্যের যখন চাহিদা বেড়েছে তখন রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধের সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না।