পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গুম-অপহরণের প্রতিবাদে জেনেভায় পশতুনদের বিক্ষোভ

ইউরোপে কভিড-১৯ বিধিনিষেধ সত্ত্বেও, পশতুন তাহাফুজ মুভমেন্ট (পিটিএম) জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের (ইউএনএইচআরসি) সদর দপ্তরের সামনে পাকিস্তানে সেনাবাহিনী কর্তৃক সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। মানবাধিকার কাউন্সিলের ৪৫ তম অধিবেশন চলাকালীন জেনেভায় সংস্থার সদর দপ্তরের সামনে এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।

সিন্ধু, বালুচ এবং পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের অধিকার কর্মীরা পাকিস্তান সেনাবাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এবং সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার কর্তৃক সংঘটিত নৃশংসতার বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে পশতুনদের এই বিক্ষোভে যোগ দেয়।

প্রবাসী কাশ্মীরি নেতা সরদার শওকত আলী তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘পাকিস্তানের গণতান্ত্রিক শক্তিগুলো রাষ্ট্র পরিচালিত বাহিনীর নৃশংসতার শিকার। বাহিনীগুলো পশতুন, বালুচ, সিন্ধি এবং অন্যান্য নিপীড়িত লোকদের বলপূর্বক গুম ও হত্যার মতো অপরাধের সঙ্গে যুক্ত।

শওকত আরো বলেন, পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর এবং গিলগিট বালতিস্তানের পরিস্থিতি অত্যন্ত নাজুক। সেখানে মানুষকে ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিনা বিচারে কারাগারে আটকে রাখা হচ্ছে।

সিন্ধি মানবাধিকারকর্মী বাসির নাভেদ বলেন, ‘সিন্ধিরা বিগত বহু দশক ধরে সংগ্রাম করে আসছে। সিন্ধিদের নির্মূল করার অভিপ্রায় নিয়ে পাকিস্তানের অন্যান্য অংশের লোকেরা সিন্ধুতে বসতি স্থাপন করে চলেছে।’

নাভিদ বলেছিলেন, ‘বলপূর্বক নিখোঁজ হওয়ার প্রবণতা সিন্ধু থেকে শুরু হয়ে এখন বেলুচিস্তান এবং খাইবার পাখতুনখোয়া পর্যন্ত সম্প্রসারিত হয়েছে। আইন নিরাপত্তা বাহিনীকে একজন ব্যক্তিকে ২৪ ঘন্টার বেশি আটক রাখার অনুমতি দেয় না, ফলে এটা আইনের চরম লঙ্ঘণ ও সবচেয়ে জঘন্যতম অপরাধ।’

ফ্রান্সে বসবাসরত পিটিএম নেতা ফজল-উল আফ্রিদি বলেন, ‘কভিড-১৯ মহামারির কারণে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার চরম অবনতি ঘটা সত্ত্বেও পাকিস্তান খাইবার পাখতুনখোয়ায় তালেবান ও অন্যান্য উপজাতীয় সন্ত্রাসবাদী দলগুলোকে অর্থায়ন এবং পুনর্গঠনের কাজ করে চলেছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনী সেখানে ক্রমবর্ধমানভাবে গুম, টার্গেট কিলিং এবং যৌথ নির্যাতনের মতো অপরাধ করে চলেছে।

খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে বলপূর্বক নিখোঁজ হওয়া এবং বিচার বহির্ভূত হত্যার ঘটনা ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়ায় পশতুনরা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে এই বিক্ষোভ করছে।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ