পাকিস্তানে ক্রিকেট ম্যাচে সন্ত্রাসীদের গুলিবর্ষণ!

 

পাকিস্তানে ক্রিকেট ম্যাচে সন্ত্রাসীদের গুলিবর্ষণ!

ফাইল ছবি

পাকিস্তান ক্রিকেটে আবারো সন্ত্রাসী থাবা। স্থানীয় একটি টুৃর্নামেন্টের ফাইনালে গতকাল এলাপাথারি গুলি চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা।পাকিস্তানের পত্রিকা দ্য নিউজ-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে গতকাল খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের কোহাট বিভাগের ওরাকজাই জেলার দ্রাদার মামাজাই অঞ্চলে আমন ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনালে সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করেছে। সৌভাগ্যের বিষয় কেউ হতাহত হয়নি। গুলিবর্ষণের পর প্রাণ রক্ষা করতে যে যেভাবে পেরেছে দিক-বেদিক ছুটেছে। আর স্বাভাবিকভাবেই ফাইনাল ম্যাচটি পণ্ড হয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা দ্য নিউজকে জানায়, ছানা গ্রাউন্ড নামের মাঠে এ ফাইনালে অনেক দর্শক উপস্থিত ছিলেন। এর মধ্যে স্থানীয় রাজনৈতিক কর্মী ও সংবাদকর্মীরাও ছিলেন। কিন্তু ম্যাচ শুরুর হবার পরই মাঠের কাছে নিকটবর্তী এক পাহাড় থেকে সন্ত্রাসীরা মাঠের দিকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করতে থাকে। গুলি শুরু হতেই খেলোয়াড়, আম্পায়ার, সংবাদকর্মী, দর্শকরা প্রাণে বাঁচতে যেদিকে পেরেছেন ছুটেছেন। কারও গায়ে গুলি লাগার খবর পাওয়া যায়নি। এবার কোনো জঙ্গী সংগঠন নয়, হামলা করেছে সন্ত্রাসীরা।

এই হামলার মাধ্যমে ১১ বছর আগের দুঃস্মৃতি আবারো ফিরে এলো পাকিস্তানের ক্রিকেটে। ২০০৯ সালের সফরত শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের বহনকারী বাসে গুলিবর্ষণ করেছিল পাকিস্তানের জঙ্গীরা। গুলিবর্ষণে অনেকেই মারা যান ও লঙ্কানদের অনেক খেলোয়াড় আহত হন। এরপর থেকে পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নিষিদ্ধ হয়ে পড়ে। তবে গত এক-দেড় বছরে আবারো পাকিস্তান সফর করে শ্রীলঙ্কা, জিম্বাবুয়ে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বাংলাদেশ।

তাই বাইরের দেশগুলোকে নিজ দেশের আনার কাজে দারুনভাবে এগিয়ে যাচ্ছিল দেশটির ক্রিকেট বোর্ড ও সরকার। কিন্তু এরই মধ্যে ক্রিকেট মাঠেই সন্ত্রাসী হামলার খবর, কতটা প্রভাব পড়ে ক্রিকেট বিশ্বে, সেটিই এখন দেখার বিষয়। ওরাকজাই জেলার পুলিশ কর্মকর্তা নিসার আহমাদ জানিয়েছেন, ওই পাহাড়ি অঞ্চলে সন্ত্রাসীদের আনাগোনার খবর তাদের আগ থেকেই জানা ছিল। পুলিশ এখন সন্ত্রাসী ও অন্যান্য অপরাধীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং তাদের শাস্তির আওতায় আনবে।

সূত্র কালের কন্ঠ