পাকিস্তানের অর্থনীতির প্রতিটি খাত পতনের পথে:সাবেক প্রধানমন্ত্রী

সম্প্রতি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জানান, তাঁর ওপর সেনাবাহিনীর কোনো চাপ নেই। তিনি তাঁর নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ীই দেশ পরিচালনা করছেন। তাঁর এমন বক্তব্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) প্রবীণ নেতা শহীদ খাকান আব্বাসি। তিনি বলেন, ইমরান খান এ ধরনের কথা বলছেন, যখন কোনো কিছু ভালো যাচ্ছে না।

বিরোধীদের কাছে পাকিস্তানের ন্যাশনাল রিকন্সিলিয়েশন অর্ডিন্যান্স (এনআরও) নিয়ে অস্বীকার করার জন্যও ইমরান খানকে চ্যালেঞ্জ জানান শহীদ খাকান আব্বাসি। তিনি বলেন, একজন নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর সব সময় এ জাতীয় দাবি করার বিষয়ে চিন্তা করা উচিত।

সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে শহীদ খাকান আব্বাসি বলেন, আপনি (প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান) কিভাবে বলতে পারেন যে (বিরোধী দলগুলোকে) কোনো এনআরও দেবেন না … এটি কোনো রাজনীতিবিদ বা নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর জন্য উপযুক্ত? স্বৈরশাসকরা তাদের ভিত্তি সুরক্ষিত ও শক্তিশালী করার জন্য এনআরও প্রস্তাব করে। দুর্ভাগ্যক্রমে এই জাতীয় দাবি আমাদের জাতীয় নেতৃত্ব কতটা পরিপক্ব তা নির্দেশ করে। এই নেতৃত্ব আমাদের বিশ্বাস করাতে চায় যে এটি সামরিক চাপের অধীনে নয়। এমন দাবি নিজেই জানান দেয় যে সব কিছু ভালো যাচ্ছে না।

আব্বাসি আরো বলেন, ২০১৮ সালে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফকে (পিটিআই) যারা ভোট দিয়েছিলেন তারা এখন ওই জায়গা থেকে সরে এসেছেন। যা সমাজের প্রতিটি স্তরকে হতাশায় নিমজ্জিত করে। তিনি আরো বলেন, অর্থনীতির প্রতিটি খাত পতনের পথে রয়েছে। পরিষেবা খাত ও কৃষি খাত পতনের পথে রয়েছে। পরিস্থিতি আরো খারাপ হচ্ছে। যদি নিয়ন্ত্রণ করা না যায় বা চলতে থাকে, তবে এটি করোনাভাইরাসের চেয়ে আরো খারপ হয়ে উঠবে।

সবেক এই প্রধানমন্ত্রীর দাবি, তারা (পিটিআই সরকার) প্রতিদিন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং প্রতিটি দিনই তাদের সমস্যাগুলো বাড়ছে। অর্থনীতি ধসে পড়েছে। বৈদেশিক নীতি ব্যর্থতার মুখোমুখি হচ্ছে। শহীদ খাকান আব্বাসি বলেন, পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের (পিডিএম) অধীনে বিরোধী জোট কিছুটা পরিবর্তন আনবে। কারণ নতুন নির্বাচন ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প ভাববে না তারা।

সূত্র : ইয়াহু নিউজ।